ডেঙ্গু প্রতিরোধে বছরভর কাজ করতে উদ্যোগ দক্ষিন দমদমে। — ফাইল চিত্র।
বছরের কয়েকটি মাসেই শুধু নয়, কাজ হবে বছরভর। মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে এমনই পরিকল্পনা করছে দক্ষিণ দমদম পুরসভা। যদিও এই পরিকল্পনা বাস্তবে আদৌ কতটা রূপায়িত হবে, তা নিয়ে সংশয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের একটি বড় অংশ।
পুরসভা সূত্রের খবর, সাধারণত জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণের কাজে জোর দেওয়া হয়। কিন্তু গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতায় দেখা গিয়েছে, অন্য সময়েও মশার উপদ্রব বা মশাবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব থাকছে। তাই ডেঙ্গি-সহ সেই সব রোগ দমনে সারা বছর ধরেই কাজের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। চলতি বছরে ডেঙ্গিতে দক্ষিণ দমদমে কয়েকশো মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুও হয়েছে তিন জনের। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এমন ভাবনা বলে জানিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
যদিও পুরসভার আর্থিক অবস্থার কথা ভেবে এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের একাংশের কথায়, ‘‘নতুন পুর বোর্ড তৈরির পর থেকেই আর্থিক সমস্যার কথা শোনা যাচ্ছে। শাসকদলের জনপ্রতিনিধিরাই পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এই অবস্থায় ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের কাজ বছরভর অব্যাহত থাকবে কি না, তা নিয়েই সংশয় হচ্ছে।’’
সম্প্রতি পুরসভার আয়-ব্যয় ও পরিষেবার হাল নিয়ে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন কাউন্সিলরদের একাংশ। তাঁরা জানিয়েছিলেন, পুরসভার আর্থিক অবস্থা বেহাল। অভিযোগ, পুর কর্তৃপক্ষ মুখে ব্যয় সংকোচনের কথা বললেও বেশ কিছু খাতে অকারণ ব্যয় করা হচ্ছে। এক কাউন্সিলরের অভিযোগ, পুরসভার টাকা বাকি থাকায় পেট্রল কিনতে পারেনি একটি অ্যাম্বুল্যান্স! যদিও এই অভিযোগ না মেনে এক চেয়ারম্যান পারিষদ জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট জায়গা থেকে জ্বালানি নেওয়া হয়। সেখানে কিছু টাকা বকেয়া থাকলেও পরে মিটিয়ে দেওয়া হয়। আয় বৃদ্ধির জন্য পুর কর্তৃপক্ষের তরফে পরিকল্পনার কথা জানানো হলেও তা কার্যকর হয়নি।
যদিও পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, আশু প্রয়োজন নয়, এমন খাতে ব্যয় কমানো হচ্ছে। পাশাপাশি বিজ্ঞাপন, পার্কিং ফি চালু করে এবং বকেয়া সম্পত্তিকর আদায় করে আয় বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে। চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস জানান, আর্থিক সমস্যা থাকলেও ডেঙ্গি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে তা বিশেষ অন্তরায় হবে বলে মনে হয় না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy