— প্রতীকী চিত্র।
উজ্জ্বল আলো এবং ব্যয়সঙ্কোচের কথা ভেবে পুর এলাকার সর্বত্র এল ই ডি আলো ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছিল দক্ষিণ দমদম পুরসভা। যদিও এখনও সেই পরিকল্পনা বাস্তবের মুখ দেখেনি। বাসিন্দাদের কথায়, এই ধরনের দীর্ঘসূত্রতার জেরে আখেরে খরচ বাড়ে। পুরনো আলোগুলি দ্রুত বদলানো জরুরি। যদিও পুর কর্তৃপক্ষ জানান, এলাকায় আলোর অভাব নেই। সেগুলি নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের কাজও চলে। আর্থিক সীমাবদ্ধতার কথা বিবেচনায় রেখে একটি বড় প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। গ্রিন সিটি মিশনের আওতায় সেই অনুযায়ী টাকাও বরাদ্দ হয়েছে। তবে, দরপত্র-সহ প্রক্রিয়াগত কারণে কিছু সময় লাগবে। দ্রুত ওই কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের কথায়, বিভিন্ন ওয়ার্ডের ভিতরের রাস্তায় আলো রয়েছে ঠিকই। তবে, সেই সব আলোর আধুনিকীকরণ প্রয়োজন। দমদম ক্যান্টনমেন্ট এলাকার এক বাসিন্দা শুভাশিস মজুমদার বলেন, ‘‘আগের চেয়ে আলোর উন্নতি হলেও চাহিদা আরও বেশি। বিশেষত অলিগলি, ছোট রাস্তায় আরও আলোর দরকার।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, সাবেক আলোর চেয়ে এল ই ডি আলো ব্যবহার করা হলে ব্যয়সঙ্কোচ হয়। তা ছাড়া, এল ই ডি থেকে অনেক উজ্জ্বল সাদা আলোও পাওয়া যায়। ইতিমধ্যে কিছু ক্ষেত্রে সেই আলোর ব্যবহার করা হয়েছে। তাই সর্বত্র ওই আলো ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছিল পুরসভা। পুরপ্রতিনিধিদের তালিকা বিবেচনায় রেখে সেই অনুসারে ওই আলো লাগানো হবে। গ্রিন সিটি মিশন প্রকল্পের আওতায় কয়েক কোটি টাকা খরচ হবে এই প্রকল্পে।
তবে বাসিন্দাদের একাংশের কথায়, ব্যয়সঙ্কোচের কথাই যদি ভাবা হয়, সে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র
সৌন্দর্যায়নের জন্য সার রাত যে সব আলো জ্বালানো থাকে, তার প্রয়োজনীয়তার দিকটিও বিবেচনা করা দরকার। সে দিকেও পুর প্রশাসন নজর দিক, এমনটাই দাবি তাঁদের।
পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (আলো) পার্থ বর্মা জানান, আলোর অভাব নেই। তবে এলাকা আরও বেশি আলোকিত করা এবং একই সঙ্গে খরচ কমানোর উপরে জোর দেওয়া হয়েছিল। সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা, প্রস্তাব তৈরি, তার আর্থিক অনুমোদন এবং প্রক্রিয়াগত কারণে সময় লাগছে। তবে গোটা প্রক্রিয়া পার করে দ্রুত শুরু হবে কাজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy