মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলায় কেস ডায়েরি তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট। সোমবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ, মঙ্গলবার রাজ্যকে কেস ডায়েরি আদালতে জমা দিতে হবে। অন্য দিকে, ওই চিকিৎসকের অভিযোগ, তাঁকে নোটিস পাঠিয়ে ডাকা হয়েছে। অথচ এখনও পর্যন্ত পুলিশ এফআইআরের কপি আপলোড করেনি। কেন মামলাকারীকে এফআইআরের কপি দেওয়া হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত। বিচারপতি ঘোষ জানান, সোমবারের মধ্যে পল্লবীকে এফআইআর কপি দিতে হবে। মঙ্গলবার বিকেলে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় ১৩ জনকে সাসপেন্ড করে স্বাস্থ্য ভবন। তার মধ্যে পল্লবী-সহ ছ’জন সিনিয়র ডাক্তার রয়েছেন। স্বাস্থ্য ভবনের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন পল্লবী। তাঁর আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের সওয়াল, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় স্যালাইন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ওই ঘটনায় সিআইডি তদন্ত শুরু করেছে। কিন্তু তারা স্যালাইন নিয়ে তদন্ত না করে ইচ্ছাকৃত ভাবে ডাক্তারদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। স্যালাইন বিতর্ক ঢাকা দিতেই অন্যের উপর দায় চাপানো হচ্ছে। এর পরেই আদালত জানায়, রাজ্যকে কেস ডায়েরি জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন:
জানুয়ারির শুরুতে মেদিনীপুর হাসপাতালে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে অসুস্থ হয়ে পড়েন পাঁচ প্রসূতি। পরে এক জনের মৃত্যু হয়। এক সদ্যোজাতেরও মৃত্যু হয়। এর পরেই স্যালাইনের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই ঘটনার পরে ওই হাসপাতালের ১৩ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। অভিযুক্ত পল্লবীর মামলার কেস ডায়েরি রাজ্যের থেকে তলব করল হাই কোর্ট।