রবীন্দ্র সদন মেট্রো স্টেশন চত্বর ঢেকেছে ধোঁয়ায়। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
মেট্রোর সুড়ঙ্গে ধোঁয়াকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়াল রবীন্দ্র সদন স্টেশনে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ আচমকা রবীন্দ্র সদন এবং ময়দান স্টেশনের মাঝে সুড়ঙ্গে ধোঁয়া দেখা যায়। ওই সময়ে রবীন্দ্র সদন স্টেশনে এসে থামে দমদমগামী একটি এসি রেক। ওই পরিস্থিতিতে মেট্রোর চালক সমস্যা বুঝতে পেরে ট্রেনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। যাত্রীদেরও রবীন্দ্র সদন স্টেশনে নামিয়ে দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ট্রেন আসার আগে রবীন্দ্র সদন স্টেশনে দাঁড়ানো যাত্রীরা সুড়ঙ্গের ভিতরে ধোঁয়া দেখতে পান। ইতিমধ্যে ট্রেন চলে আসে। চালক ট্রেনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। নামিয়ে দেওয়া হয় ট্রেনের যাত্রীদেরও। তত ক্ষণে রবীন্দ্র সদন স্টেশন ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে। এর পরে আতঙ্কে যাত্রীরা চেঁচামেচি শুরু করে দেন। তবে দ্রুত সকলকেই স্টেশনের বাইরে বার করে দেওয়া হয়।
ঘটনার পরে লাইন পরীক্ষার কারণে প্রায় দু’ঘণ্টা নোয়াপাড়া থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। তবে ওই সময়ে অবশ্য কবি সুভাষ থেকে টালিগঞ্জ এবং সেন্ট্রাল থেকে নোয়াপাড়া পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করেছে। দমদম থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ায় যাত্রীরা অসুবিধায় পড়েন। এই বিভ্রাটের কারণ খুঁজতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
মেট্রো সূত্রের খবর, এ দিন আপ লাইনে দমদমগামী ট্রেনটির সামনে ময়দানের সুড়ঙ্গে প্রায় ৫০ মিটার দূরে আগুনের স্ফুলিঙ্গ এবং ধোঁয়া দেখা যায়। যাত্রীরা ধোঁয়া দেখতে পেয়ে চেঁচামেচি শুরু করেন। প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত আরপিএফ কর্মীরাও বিষয়টি দেখতে পান। ঘটনাস্থলে পৌঁছন মেট্রো রেলের আধিকারিকেরা। প্রাথমিক ভাবে থার্ড লাইনে সংযোগকারী হাই টেনশন লাইনের তারের বাইরের আবরণ নষ্ট হয়ে গিয়ে শর্ট সার্কিটের জেরে ওই ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।
তরুণ নায়েক নামে এক মেট্রোযাত্রী বলেন, ‘‘আমি সাড়ে ১২টা নাগাদ রবীন্দ্র সদন থেকে ট্রেনে উঠতে গিয়ে দেখি যাত্রীরা হুড়মুড় করে আতঙ্কিত মুখে স্টেশন ছেড়ে বেরিয়ে আসছেন।’’ ঘটনার জেরে রবীন্দ্র সদনের সামনে ভিড় জমে যায়। অনেকে ভিড় বাসে উঠতে না পেরে হাঁটতে শুরু করেন। ঘটনার প্রভাব পড়েছে মেট্রোর বিভিন্ন স্টেশনে। এ দিন দুপুর সওয়া দু’টো নাগাদ সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, ট্রেন ছাড়ার আশায় অনেকেই দাঁড়িয়ে। শেখ হাসান নামে মছলন্দপুরের এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘এসএসকেএম হাসপাতালে আমার এক আত্মীয়কে দেখতে যাওয়ার কথা। আমি নোয়াপাড়া থেকে উঠে সেন্ট্রাল স্টেশনে এসে শুনলাম, ট্রেন আর যাবে না। এখন যা ভিড় তাতে বাস ধরা মুশকিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy