কলকাতার ছোট ছোট ঘাটগুলিতেও বিসর্জনের প্রস্তুতি রাখছে পুরসভা। ফাইল চিত্র।
আর কয়েক দিনের মধ্যেই ঢাকে কাঠি পড়বে শারদোৎসবের। সেই কথা মাথায় রেখে নানা প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। পুজোর শেষে বিসর্জন নিয়েও বড় রকমের প্রস্তুতি রাখা হয়। শনিবার কলকাতা পুরসভার অধিবেশনে স্থানীয় এলাকায় বিসর্জন নিয়ে প্রশ্ন করেন ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী।
নিজের বক্তব্যের শুরুতে তিনি বলেন, ‘‘কলকাতা পুরসভা প্রতি বছর উৎসবের মরসুমে বিশেষ আলোর ব্যবস্থা করে থাকে পুরসভার তালিকাভুক্ত বিসর্জনের ঘাটগুলিতে এবং ছটপুজোর ঘাটে।’’ সেই সঙ্গে তিনি নিজের ওয়ার্ডের প্রতিমা নিরঞ্জন নিয়ে কলকাতা পুরসভা দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিসর্জনের সময় বিশেষ করে জঞ্জাল অপসারণ ও আলোর ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান। পাশাপাশি বোরো-১০-এর চেয়ারম্যান জুঁই বিশ্বাসও এই একই দাবি নিয়ে সরব হন। প্রথমে এ বিষয়ে জবাব দেন মেয়র পারিষদ (লাইট) সন্দীপ বক্সী। তিনি বলেন, ‘‘এ বার আমাদের এই সংক্রান্ত বাজেটে কিছু কাটছাঁট হয়েছে। তবে আমরা প্রস্তুতির ক্ষেত্রে কোনও খামতি রাখিনি। কলকাতার বড় বড় ঘাটে যেমন প্রতিমা বিসর্জন হয়, তেমনই ছোট ছোট পুকুরঘাটগুলিতেও ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতি ঘাটে যাতে বিসর্জনের সময় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা হয়, সে বিষয়ে বদ্ধপরিকর কলকাতা পুরসভা।’’
মেয়র পারিষদের বক্তব্যকে সমর্থন করেই পুর অধিবেশনে নিজের বক্তব্য শুরু করেন মেয়র। ফিরহাদ বলেন, ‘‘অবশ্যই এই খাতে আমাদের খরচের খাতায় কাটছাঁট হয়েছে। তবে যে সব খাতে আমাদের বাজে খরচ হচ্ছিল, সেগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিসর্জনের প্রস্তুতিতে যে ধরনের খরচ হয়, সেখানে কোনও কিছু কম করা হয়নি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘শারদোৎসব একটি বড় বিষয়। সেই উৎসবের একটি বড় জায়গা জুড়ে থাকে বিসর্জন প্রক্রিয়া। সেই বিসর্জন প্রক্রিয়ায় যাতে শহরে কোনও খামতি না থাকে, তার প্রস্তুতি পুরসভা নিচ্ছে। তাই ছোট ছোট ঘাটের আবর্জনা দ্রুত সরানো, পুকুরগুলিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ও আলো লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে বিসর্জনের ঘাটগুলিতে কলকাতা পুরসভা নজরদারিও করবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy