ফাইল চিত্র।
সামান্য আসন হেলানো! তা-ই নিয়ে বিমানের ভিতরে এমনই ধুন্ধুমার কাণ্ড বেধে গেল যে, বাধ্য হয়ে পাইলটকে অভিযোগ জানাতে হল। এবং তার জেরে সোমবার সকালে কলকাতায় নামার পরে ছ’জন যাত্রীকে সোজা নিয়ে যেতে হল বিমানবন্দর থানায়।
কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রের খবর, এ দিন সকালে পোর্ট ব্লেয়ার থেকে ইন্ডিগোর উড়ানে আসছিল দু’টি পরিবার। একটি পরিবারে বৃদ্ধা মায়ের সঙ্গে ছেলে। মা পেশায় চিকিৎসক। অন্য পরিবারে স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গে দুই ছেলেমেয়ে। তাঁদের মধ্যে তিন জন বসে ছিলেন ৯ নম্বর রোয়ে এ, বি, সি আসনে। তার পিছনেই ১০ নম্বর রোয়ে বি এবং সি আসনে ছিলেন প্রথম পরিবারের দুই যাত্রী মা ও ছেলে।
বিমান ওড়ার পরে কিছু ক্ষণ পর্যন্ত আসন সোজা রেখে দিতে হয়। তা হেলানো যায় না। পরে সিট বেল্ট সঙ্কেত বন্ধ হলে আসন হেলানো যায়। বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন অনুমতি পেয়ে ৯সি আসনে বসা যাত্রী আসন পিছনে হেলিয়ে দেওয়ায় আপত্তি তোলেন পিছনে বসা বৃদ্ধা চিকিৎসক। শুরু হয়ে যায় বচসা।
ইন্ডিগোর পাইলট প্রণব কাশ্যপ তাঁর রিপোর্টে জানিয়েছেন, প্রথমে বিমানসেবিকারা গিয়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু লাভ হয়নি। বৃদ্ধা ও তাঁর ছেলের বসার ব্যবস্থা অন্যত্র করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল বলে ইন্ডিগোর দাবি। তাদের অভিযোগ, সেবিকাদের যাবতীয় প্রয়াস ধূলিসাৎ করে উড়ান চলাকালীন দু’পক্ষই পরস্পরকে কটূক্তি করতে থাকে তারস্বরে।
বিমান পরিবহণের নিয়ম অনুযায়ী উড়ানের মধ্যে বিশৃঙ্খল আচরণের জন্য যাত্রীদের জেল ও জরিমানা পর্যন্ত হতে পারে। কলকাতায় নামার আগে পাইলট সরাসরি বিমানবন্দরের এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-কে জানান, উড়ানে বিশৃঙ্খল যাত্রীরা রয়েছেন। নিরাপত্তারক্ষী দরকার। সেই অনুযায়ী পৌনে ১১টায় বিমান নামার পরে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অফিসারেরা সিআইএসএফের জওয়ানদের নিয়ে বিমানের ভিতরে হাজির হন।
পাইলট লিখিত ভাবে অভিযোগ জানালে ওই ছ’জনকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় থানায়। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, ছ’জনেই দিল্লির বাসিন্দা এবং এ দিন কলকাতায় নেমে তাঁদের দিল্লির উড়ান ধরার কথা ছিল। থানায় গিয়ে নিজেরাই বিষয়টি মিটিয়ে নেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy