প্রতীকী ছবি।
হাসপাতালে ভর্তির আগে পর্যন্ত তিনি দোকানে বসেছেন। সকলের সঙ্গে গল্পও করেছেন। কিন্তু ওই মুদিখানা ব্যবসায়ীর মধ্যে ঝিমুনি ভাব থাকায় তাঁকে নিয়ে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন বাসিন্দারা। মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যুর পরে বুধবার রাতে রিপোর্ট এলে জানা যায় ওই ব্যবসায়ী করোনায় আক্রান্ত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকালে সেই খবর জানার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছেন বরাহনগরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ফরোয়ার্ড কলোনির বাসিন্দারা। কারা ওই দোকানে গিয়েছিলেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। এলাকাতেই দোকান ছিল ওই ব্যক্তির। স্থানীয়েরা জানান, বেশ কিছু দিন ধরেই একটু ঝিমিয়ে ছিলেন ওই দোকানি। আবার ক্রেতা ও লোকজনের সঙ্গে গল্পও করতেন। গত শনিবার জ্বর নিয়ে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে যেতে দেখে সন্দেহ হয় লোকজনের। দোকানিকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়েরা। মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়। বুধবার লালারসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এলে জানা যায় তিনি কোভিড পজ়িটিভ ছিলেন।
স্থানীয় কোঅর্ডিনেটর অঞ্জন পাল বলেন, ‘‘ওঁর পরিবারের যে ১২-১৪ জন ওঁর সংস্পর্শে এসেছিলেন তাঁদের ২০ জুলাই পরীক্ষা করানো হবে। তার বাইরে যাঁরা ওঁর সংস্পর্শে এসেছিলেন তাঁদের কী ভাবে চিহ্নিত করা যাবে বুঝতে পারছি না। তা-ও এলাকায় খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’’
ওই ব্যবসায়ীর মা বার্ধক্যজনিত কারণে শয্যাশায়ী। ছেলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে মায়ের সংস্পর্শে এসেছিলেন। ফলে বৃদ্ধা যদি এখন করোনা পজ়িটিভ হন, সেই ক্ষেত্রে তাঁকে নিয়ে পরিবার কী করবে তা নিয়েই উদ্বেগ সকলের। গোটা বরাহনগর জুড়ে করোনা পরিস্থিতি ভয়ানক বলেই দাবি স্থানীয়দের। বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যাও।
প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই বরাহনগরের ১৬টি ওয়ার্ডের মহারাজা নন্দকুমার রোড, গোপাললাল ঠাকুর রোড, দেশবন্ধু রোড, সূর্য সেন রোড, অক্ষয় মুখার্জি রোড, ডানলপ রবীন্দ্র নগর এলাকা কন্টেনমেন্ট জ়োন বলে ঘোষণা করে সেখানে লকডাউন বলবৎ করা হয়েছে। রাস্তা-গলি ঘেরা হয়েছে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে। অক্ষয় মুখার্জি রোড, গোপাললাল ঠাকুর রোড-সহ বেশ কয়েকটি এলাকাতেই দেখা গেল, বাঁশের ব্যারিকেড সরিয়ে সাইকেল, বাইক নিয়ে যাতায়াত করছেন কেউ কেউ। সংক্রমণ রুখতে পুরসভার তরফে বঙ্গলক্ষ্মী, আলমবাজার ও ডানলপ বাজার বন্ধ করা হয়েছে।
তবে যে সব জায়গায় বাজার খোলা রয়েছে সেখানে ২০ জন করে ক্রেতা প্রবেশ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ জায়গাতেই দেখা যাচ্ছে দূরত্ববিধি না মেনে ঘুরছেন লোকজন। বরাহনগর পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারমান অপর্ণা মৌলিক বলেন, ‘‘দূরত্ব বিধির সাতটি বিষয়ের উপরে ক্রমাগত মাইক প্রচার চলছে। তা-ও অনেকে এখনও সচেতন হচ্ছেন না। জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি পুলিশকেও বলেছি কড়া ব্যবস্থা নিতে।’’
উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল সম্পর্কিত যাবতীয় আপডেট পেতে রেজিস্টার করুন এখানে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy