—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে তোলপাড় সারা দেশ। গত কয়েক দিন ধরেই এই ঘটনায় সুবিচারের দাবিতে পথে নেমেছেন রাজ্য তথা দেশবাসী। তারই পরিপ্রেক্ষিতে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে এ বার দুর্গাপুজোয় নিজেদের ঘর থেকে মাটি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সোনাগাছির যৌনকর্মীরা।
যৌন পেশাকে শ্রম তালিকায় আনার দাবি বহু দিন ধরেই তুলছেন যৌনকর্মীরা। আদালত যৌন পেশাকে আইনি স্বীকৃতি দিলেও সমাজের চোখে এখনও প্রান্তিক তাঁরা। তাই গত কয়েক বছর ধরে মাটি দিতে আপত্তি জানিয়েছে সোনাগাছি। এ বার তাতে যুক্ত হয়েছে আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ। আর জি কর-সহ নারী নিগ্রহের সমস্ত ঘটনায় নিজেদের মতো করেই প্রতিবাদ করেছে সোনাগাছি। যৌনকর্মীদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘দুর্বার মহিলা সমন্বয় সমিতি’র সেক্রেটারি, পেশায় যৌনকর্মী বিশাখা লস্কর বলছেন, ‘‘বছরের চার দিন নয়, ৩৬৫ দিনই আমরা সামাজিক স্বীকৃতি চাই। আর জি করের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা তো বটেই, রাজ্যে ও দেশে সমস্ত নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মাটি না দেওয়াই আমাদের হাতিয়ার। নারী নিগ্রহের কত ঘটনাই তো ঘটে। ক’জন সুবিচার পান? এই সব ঘটনা থামানোর সময় এসেছে। তাই আমরা দুর্গাপুজোর জন্য যৌনপল্লি থেকে মাটি দেব না, যত ক্ষণ না সেই সব ঘটনার সুবিচার হচ্ছে।’’
আর জি কর নিয়ে প্রতিবাদে আগেই শামিল হয়েছিল সোনাগাছি। বিশাখা জানান, ১৪ অগস্ট মেয়েদের রাত দখলে কলেজ স্ট্রিটের জমায়েতে মোমবাতি, মশাল হাতে শামিল হন তাঁরাও। পোস্টার হাতে ‘বিচার চাই’ স্লোগানও দেন। সেখানেই প্রতিবাদ শেষ করতে চায়নি সোনাগাছি। তাই এ বার দুর্গা মূর্তি তৈরিতে মাটি দেবেন না তাঁরা।
গত কয়েক বছর ধরেই মাটি দিতে আপত্তি জানিয়েছে সোনাগাছি। ২০১৮ সালেও ঝাড়খণ্ড থেকে আসা দুই যুবককে পুজোর জন্য হাতে করে মাটি দিতে অস্বীকার করেন তাঁরা। এত দিন শুধু নিজেদের পেশাকে শ্রম তালিকায় রাখার দাবিতেই মাটি দেননি তাঁরা। এ বার যুক্ত হয়েছে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy