প্রতীকী ছবি।
একের পর এক মৃত্যু প্রত্যক্ষ করেছিলেন তিনি। এক বছরেই বাবা, মা, ভাই, দিদিমার মৃত্যু দেখেছিলেন পি সমরিথ। মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হায়দরাবাদের বাসিন্দা যুবক তা-ও চেষ্টা করেছিলেন সব শোক সামলে ওঠার। কিন্তু প্রায় অনাথ হয়ে যাওয়া ওই যুবকের জীবন থেকে সম্প্রতি সরে যান আরও এক ভালবাসার মানুষ। সম্ভবত এর পরেই আর অবসাদ সামলে উঠতে পারেননি তিনি। ওই যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তে নেমে এমনটাই অনুমান করছে পুলিশ। মঙ্গলবার ময়না-তদন্তের পরে সমরিথের দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে তাঁর পরিবারের হাতে।
সোমবার সল্টলেকের লাবণি আবাসনের একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের চৌরঙ্গি শাখার কর্মী সমরিথের দেহ। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, তিন সহকর্মী মিলে গত অগস্ট থেকে ওই ফ্ল্যাটে পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকছিলেন। সকালে এক জন অফিসে চলে যান। অন্য জন টিফিন খেতে বেরোন। তখন সমরিথ একাই ছিলেন। সহকর্মী ফিরে এসে ডাকাডাকি করেও সাড়া পাননি। দরজা ভেঙে দেখা যায়, তাঁর মাথা থেকে গলা পর্যন্ত প্লাস্টিকে মোড়া। নাকের কাছে হিলিয়াম গ্যাস সিলিন্ডারের সংযোগকারী পাইপ। পুলিশ জানায়, ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোট।
সূত্রের খবর, দক্ষিণ ভারতে এবং বিদেশে এমন পন্থায় আত্মহত্যার উদাহরণ পাওয়া যায়। মৃত্যুর কারণ খুঁজতে গিয়েই পুলিশ জানতে পারে, প্রিয়জনদের পর পর মৃত্যু সমরিথকে অবসাদগ্রস্ত করে তুলেছিল। তদন্তে জানা যায়, ২০১৬ সালে ওই যুবকের বাবা, মা, দিদিমা এবং ভাইয়ের অসুখে মৃত্যু হয়েছিল। আরও জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পরিকল্পনা করেই তিনি অনলাইনে হিলিয়াম গ্যাসের সিলিন্ডার কিনেছিলেন। যদিও সব তথ্য যাচাই করা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
মৃত্যুর খবর পেয়ে হায়দরাবাদ থেকে শহরে আসেন যুবকের এক বন্ধু এবং পিসি। তাঁদের হাতেই তুলে দেওয়া হয় সমরিথের দেহ। রাতেই এ শহরে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy