—ফাইল চিত্র
কোভিড আবহে আয়োজন হচ্ছে এ বছরের গঙ্গাসাগর মেলা। তাই স্বাস্থ্য-সুরক্ষায় বিশেষ জোর দেওয়ার কথা ঘোষণা হয়েছে আগেই। এ বার ওই মেলাকে পরিবেশবান্ধব করতে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলেও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর। এ জন্য প্লাস্টিকের ব্যাগ নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিতে থাকছে একটি মঞ্চ, যেখানে প্রচারিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাগর কলুষিত হওয়া থেকে বাঁচাতে ফেলা হবে জাল।
এ বছরই প্রথম সাগরমেলায় প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হচ্ছে। মেলার প্রতিটি দোকানে ওই ব্যাগ যাতে কোনও ভাবেই ব্যবহার না করা হয়, সে দিকে বাড়তি নজদারির ব্যবস্থা থাকবে বলে জানা গিয়েছে। দোকানে দোকানে পরিবেশবান্ধব বায়োব্যাগ, শালপাতা, কাগজের কাপ রাখার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
রবিবার এ কথা জানিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথন। তিনি বলেন, “এ বারের মেলায় প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ হচ্ছে। পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ব্যাগ ব্যবহার করা হবে। গঙ্গাসাগর-বকখালি উন্নয়ন পর্ষদের তরফে ওই ব্যাগ দেওয়া হবে।” ওই পর্ষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক শম্ভুদীপ সরকার বলেন, “ভুট্টা থেকে যে স্টার্চ বেরোয় তা দিয়ে বায়োপ্লাস্টিক ব্যাগ খড়্গপুরের কারখানায় তৈরি করা হচ্ছে। প্রায় চার লক্ষ ওই পরিবেশবান্ধব ব্যাগের বরাত দেওয়া হয়েছে।” ব্যাগ নিমার্ণকারী সংস্থার অধিকর্তা মণীশ গুপ্তের দাবি, “এই ব্যাগ এতটাই পরিবেশবান্ধব যে ব্যবহারের পরে মাটিতে ফেলে দিলে সম্পূর্ণ ভাবে মিশে যাবে।”
এ বছরই প্রথম পরিবেশ সচেতনতায় মেলা প্রাঙ্গণে আলাদা মঞ্চ থাকবে। যেখানে পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিতে গান, নাটক, যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত হবে। এক আধিকারিক বলেন, “রণপা পরে জনা কুড়ি যুবক মেলার মাঠে ঘুরে বেড়াবেন, যাঁদের গায়ে সচেতনতার বার্তা লেখা জ্যাকেট থাকবে।
সাগরে যাতে জঞ্জাল না পড়ে, সে জন্য সমুদ্রতট থেকে ২০০ মিটার দূরে জাল থাকবে। সেখানে ময়লা আটকে যাবে। সাগরের বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা বলেন, “সাগরমেলায় দু’হাজার অস্থায়ী সাফাইকর্মী থাকবেন। ময়লা পড়ে থাকতে দেখলেই তা তুলে নেবেন তাঁরা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy