Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Duare sarkar

Duare Sarkar: ‘দুয়ারে সরকার’-এ সিংহভাগ পুরকর্মী, সঙ্কট রাজস্ব আদায়ে

‘দুয়ারে সরকার’-এর জন্য পুরসভার বিভিন্ন বিভাগ থেকে কর্মী নেওয়া হয়েছে। বেশি কর্মী নেওয়া হয়েছে লাইসেন্স এবং অ্যাসেসমেন্ট বিভাগ থেকে।

‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পের একটি দৃশ্য।

‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পের একটি দৃশ্য। ফাইল চিত্র।

মেহবুব কাদের চৌধুরী
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৭:০৮
Share: Save:

কলকাতা পুরসভার স্কুলগুলিতে নিযুক্ত শিক্ষকদের একটি বড় অংশকে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের জন্য তুলে নেওয়ায় প্রথম দিকে পড়াশোনা চালানোই মুশকিল হয়ে পড়েছিল। এ বার ঠিক একই সমস্যা দেখা দিয়েছে পুরসভার লাইসেন্স এবং অ্যাসেসমেন্ট বিভাগে। ‘দুয়ারে সরকার’-এর জন্য পুরসভার বিভিন্ন বিভাগ থেকে কর্মী তো নেওয়া হয়েছেই, সব চেয়ে বেশি কর্মী তুলে নেওয়া হয়েছে লাইসেন্স এবং অ্যাসেসমেন্ট বিভাগ থেকে। এ দিকে, ২০২১-’২২ অর্থবর্ষ প্রায় শেষ হওয়ার মুখে। ফলে কর্মীর অভাবে রাজস্ব আদায় আশানুরূপ হবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান খোদ পুর আধিকারিকদের একাংশই।

প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সংস্থার কাছে পুরসভার দেনা রয়েছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা। পাশাপাশি, বকেয়া সম্পত্তিকর বাবদ করখেলাপিদের কাছে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে পুর প্রশাসনের। পুরসভার লাইসেন্স ও অ্যাসেসমেন্ট বিভাগের আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, যে কোনও আর্থিক বছরের শেষ মাসটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সারা বছর রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলে শেষ দিকে তা পূরণ করার উপরে জোর দেওয়া হয়। লাইসেন্স বিভাগের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘কিন্তু বিভাগের প্রায় ৮০ শতাংশ কর্মীকে ‘দুয়ারে সরকার’-এর কাজে তুলে নেওয়ায় টাকা আদায়ে সমস্যা হচ্ছে।’’

পুরসভা সূত্রের খবর, কোষাগারের হাল ফেরাতে বকেয়া কর আদায়ে জোর দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বিভিন্ন ওয়ার্ডে সম্পত্তিকর আদায় বিভাগের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের কড়া হতে বলা হয়েছে। কোনও কর্মী বা আধিকারিকের কাজে কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট না হলে তাঁকে কারণ দর্শাতেও বলা হচ্ছে। অ্যাসেসমেন্ট বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আমাদের হয়েছে উভয়সঙ্কট। এক দিকে পর্যাপ্ত কর্মী না থাকায় বকেয়া কর আদায়ের কাজে গতি আনা যাচ্ছে না। অন্য দিকে, কাজ ঠিক মতো না হলে মাথার উপরে শো-কজ়ের খাঁড়া ঝুলছে।’’

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পুর স্কুলগুলি ঠিক মতো চালাতে শিক্ষকদের আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই জায়গায় কাজে লাগানো হচ্ছে লাইসেন্স এবং অ্যাসেসমেন্ট বিভাগের কর্মীদের। ফলে ওই দুই বিভাগ এখন পদে পদে হোঁচট খাচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে অ্যাসেসমেন্ট ও লাইসেন্স বিভাগের আধিকারিকেরা অবিলম্বে তাঁদের বিভাগে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে পুরসভার এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘দুয়ারে সরকার প্রকল্পও গুরুত্বপূর্ণ। রাজস্ব আদায় এবং দুয়ারে সরকার-এর কাজ, দু’দিকেই সামঞ্জস্য রেখে চলতে হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Duare sarkar Government Revenue
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy