Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

শব্দবাজি রুখতে ছাদের চাবি জমা থাকবে থানায়

গত কয়েক বছর লাগাতার প্রচার চালিয়েও আবাসনে শব্দবাজি ফাটানো রোখা যায়নি। এ বার তাই দমদম থানার পুলিশ এই পদক্ষেপ করার কথা ঘোষণা করেছে।

গত কয়েক বছর লাগাতার প্রচার চালিয়েও আবাসনে শব্দবাজি ফাটানো রোখা যায়নি।—ফাইল চিত্র।

গত কয়েক বছর লাগাতার প্রচার চালিয়েও আবাসনে শব্দবাজি ফাটানো রোখা যায়নি।—ফাইল চিত্র।

সুপ্রকাশ মণ্ডল
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:৩১
Share: Save:

আবাসনের ছাদে জরুরি মেরামতি বা অন্য কোনও কাজ থাকলে কালীপুজোর আগেই তা সেরে ফেলতে হবে। কারণ, কালীপুজোর আগের দিন থেকে কালীপুজোর দু’দিন পর পর্যন্ত ছাদের চাবি জমা থাকবে থানায়।

গত কয়েক বছর লাগাতার প্রচার চালিয়েও আবাসনে শব্দবাজি ফাটানো রোখা যায়নি। এ বার তাই দমদম থানার পুলিশ এই পদক্ষেপ করার কথা ঘোষণা করেছে। দমদমের আবাসন কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক করে পুলিশ বিষয়টি পরিষ্কার করে দিয়েছে। ওই সমস্ত আবাসনের নীচে পাহারা র ব্যবস্থাও করছে পুলিশ।

শব্দবাজি নিয়ন্ত্রণে এর আগে একই পদক্ষেপ করেছিল বিধাননগর কমিশনারেট। কালীপুজোয় সল্টলেকের আবাসনগুলির ছাদে তালা মেরে রেখেছিল পুলিশ। পুরোপুরি আটকানো না গেলেও শব্দবাজি নিয়ন্ত্রণে তা কাজে এসেছিল। দমদম থানার পুলিশ জানিয়েছে, এর পরেও যদি আবাসনগুলির ভিতরে বা ছাদে কেউ শব্দবাজি ফাটানোর চেষ্টা করে, তা হলে পুলিশ কী পদক্ষেপ করবে, তা আবাসনের পরিচালন কমিটিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

গত কয়েক বছরে দেখা গিয়েছে, রাস্তাঘাটে শব্দবাজি ফাটানো রুখতে পুলিশের টহলদারি বেশ কাজে দিচ্ছে। যদিও চোরাগোপ্তা বাজি ফাটানো আটকানো যায়নি। বিশেষ করে বড় আবাসনগুলিতে। গত কয়েক বছরে পুলিশকে বারবার আবাসনে হানা দিতে হয়েছে। গত বারেও বিভিন্ন আবাসন থেকে শব্দবাজি ফাটানোর অভিযোগে ১৫ জনকে ধরেছিল পুলিশ। কিন্তু শব্দবাজি ফাটানোর প্রবণতা আটকানো যায়নি।

সোমবার দমদম এলাকার আবাসনগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে পুলিশ। সেখানে আবাসনের পরিচালন কমিটিগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হয়, বাজি ফাটানোর জন্য আবাসনের ছাদ যাতে ব্যবহার করা না যায়, তা নিশ্চিত করতে পুলিশ ছাদ তালাবন্ধ করে রাখবে। কালীপুজোর আগের দিন থেকে ছাদের চাবি জমা থাকবে দমদম থানায়। কালীপুজোর পরের দু’দিনও সেই নিষেধাজ্ঞা থাকছে। পুজো মেটার দু’দিন পরে থানা থেকে চাবি ফেরত পাবে আবাসনগুলি।

ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এক কর্তা জানান, দমদম থানা এলাকায় ৪০টি বড় আবাসন রয়েছে। যেখানে ফ্ল্যাটের সংখ্যা ৫০০ বা তার বেশি। মাঝারি আবাসন রয়েছে শতাধিক। এই আবাসনগুলিকেই পুলিশ নজরবন্দি করতে চাইছে। প্রতিটি আবাসনের নোটিস বোর্ডে পুলিশের নিয়মাবলী সাঁটানো থাকছে।

কিন্তু তার পরেও যদি আবাসনের ছাদে শব্দবাজি ফাটে? পুলিশ জানিয়েছে, বড় আবাসনের নীচে পুলিশকর্মীদের রাখা হবে। তার পরেও কেউ নিয়ম ভাঙলে গ্রেফতার

করা হবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy