প্রতীকী ছবি।
বাড়িতে বাকি সবাই কোভিড আক্রান্ত। তার মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৮৩ বছরের মায়ের। তিনি কোভিড আক্রান্ত নন। কিন্তু তাঁর দেহ সৎকার করতে নিয়ে যেতে রাজি নন কেউ। আত্মীয়স্বজন থেকে শুরু করে প্রতিবেশীরা কেউ রাজি নন বৃদ্ধার দেহ শ্মশানে নিয়ে যেতে। শেষে পুলিশ গিয়ে সৎকার করল বৃদ্ধার।
কোভিড আতঙ্ক নিয়ে ইতিমধ্যেই একের পর এক আমানবিকতার সাক্ষী হয়েছে এই শহর। কখনও কোভিড আতঙ্কে প্রতিবেশী অসুস্থ হয়ে গেলেও তাঁকে সাহায্য করেননি প্রতিবেশীরা। কখনও রাস্তায় পড়ে থেকেছে মৃতদেহ। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন রবিবার পাটুলির এই ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে ১০টা নাগাদ পাটুলি থানার পুলিশের কাছে ফোন আসে যে, রবীন্দ্রপল্লী এলাকার বাসিন্দা ৮৩ বছরের পুতুলরানি মজুমদারের বাড়িতেই মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তাঁর দুই ছেলে, পুত্রবধূ সকলে করোনা আক্রান্ত, বাড়িতেই চিকিৎসাধীন। ফলে তাঁরা মায়ের দেহ সৎকারের জন্য নিয়ে যেতে পারছেন না।
আরও পড়ুন: রিয়াকে ফের ডাকল ইডি, রাতভর জেরা ভাই শৌভিককে
পুলিশ জানতে পারে, পাড়ার কোনও বাসিন্দা এগিয়ে আসেননি। তাঁরাও সৎকার করতে নিয়ে যেতে অরাজি। বৃদ্ধার ছেলেরা তাঁদের আত্মীয়স্বজনদের ফোন করে খবর দিয়েছিলেন। তাঁরা আশেপাশেই থাকেন। কিন্তু তাঁরাও সৎকার করতে নিয়ে যেতে রাজি নন। পুলিশ ওই আত্মীয়দের ফোন করতে গেলে দেখা যায় সব ফোনই তখন সুইচড্ অফ হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন সৎকার সমিতিকেও যোগাযোগ করেছিলেন। তাঁরাও কেউ রাজি হননি।
আরও পড়ুন: দিদিকে ‘পাক্কা শয়তান’ ভাবতেন সুশান্ত! চ্যাট শেয়ার করে এ বার পাল্টা তির রিয়ার
পুলিশ হিন্দু সৎকার সমিতির সঙ্গে যোগাযোগ করে। কিন্তু দেখা যায়, তাদের সব শববাহী গাড়ি রাজ্য সরকারের কাছে রয়েছে। ফলে তারাও ব্যবস্থা করতে পারেনি। শেষে বিভাগীয় ডিসি বিশ্বজিৎ ঘোষের তত্ত্বাবধানে পাটুলি থানার ওসি সৌম্য ঠাকুর দু’জন স্বেচ্ছাসেবকের সাহায্যে একটি গাড়ি জোগাড় করেন শব শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার জন্য। বেলা তিনটে নাগাদ পুলিশের তত্ত্বাবধানেই গড়িয়া শ্মশানে দাহ করা হয় বৃদ্ধাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy