আগেও ভিআইপি রোডে দুর্ঘটনা ঘটেছে। তার জেরে মৃত্যুও হয়েছে। দুর্ঘটনায় রাশ টানতে ইতিমধ্যেই বিধাননগর কমিশনারেট বিভিন্ন পদক্ষেপও করছে। তবু তা কমছে না। শনিবার রাত থেকে রবিবার ভোর পর্যন্ত বাঙুর ও কৈখালির কাছে দু’টি পথ দুর্ঘটনায় ফের মৃত্যু হল দুই যুবকের। মৃতদের নাম অঙ্কিত চৌধুরী (২৪) এবং শেখ সলমন (২৩)।
এর আগে শনিবার ভোরে ভিআইপি রোড থেকে কলকাতার দিকে যাওয়ার সময়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে দুমড়ে যায় একটি চার চাকার গাড়ি। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ওই গাড়িচালকের। এ নিয়ে দু’দিনে তিন জনের মৃত্যু হল।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাতে বাঙুর ও দমদম পার্কের মাঝে দুর্ঘটনায় মারা যান হাওড়ার বাসিন্দা অঙ্কিত। তিনি একটি মোটরবাইক চালিয়ে আসছিলেন। পিছন থেকে একটি গাড়ি এসে ধাক্কা মারলে বাইক থেকে ছিটকে পড়েন অঙ্কিত। টহলদার পুলিশের গাড়ি অঙ্কিতকে আর জি করে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘাতক গাড়ির খোঁজ চলছে।
অন্য দিকে, রবিবার ভোরে হলদিরাম থেকে কৈখালি যাওয়ার পথে এক ব্যক্তির দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শেখ সলমন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, শনিবার রাতে কোনও গাড়ি তাঁকে ধাক্কা মারে। এ ক্ষেত্রেও ঘাতক গাড়িটির সন্ধান মেলেনি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দুর্ঘটনা রোধে পুলিশ বিভিন্ন পদক্ষেপ করলেও আখেরে সচেতন হচ্ছেন না চালকদের একাংশই। বিশেষত রাতে ভিআইপি রোডে বেপরোয়া গতিতে যান চলাচল করছেই। পুলিশি নজরদারিও কমছে বলে অভিযোগ।
বিধাননগরের এক পুলিশ কর্তা অবশ্য নজরদারি কমার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বেপরোয়া গাড়ি, মৃত্যু। বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক যুবকের। শনিবার গভীর রাতে, টাটা সেন্টারের কাছে। মৃতের নাম করণ বাকিলাল (৩০)। তাঁর বাড়ি হরিশ মুখার্জি রোডে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জওহরলাল নেহরু রোড ধরে টাটা সেন্টারের কাছে ডান দিকে বাঁক নিচ্ছিল একটি চার চাকার ছোট গাড়ি। সেই সময় দ্রুত বেগে আসা একটি ছোট গাড়ি পিছন থেকে করণের গাড়িতে ধাক্কা মারে। তাঁকে এসএসকেএমে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। ঘাতক গাড়িটিকে আটক করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে গাড়িচালকও।
অন্য দিকে, শনিবার রাতে সুকান্ত সেতুর উপরে একটি গাড়ির ধাক্কায় আহত হন এক সাইকেল আরোহী। তাঁর নাম নারায়ণ সাহা। কর্তব্যরত যাদবপুর ট্র্যাফিক গার্ডের সার্জেন্ট রাজা রায়ের তৎপরতায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy