যাদবপুরে রাজন্যায় ভরসা তৃণমূলের। — ফাইল চিত্র।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ইউনিট ঘোষণা করল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। নতুন ইউনিটের সভাপতির দায়িত্ব পেলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনায় টিএমসিপি-র সহ-সভাপতি রাজন্যা হালদার। বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের পর্যবেক্ষক সঞ্জীব প্রামাণিককে করা হয়েছে ইউনিটের চেয়ারপার্সন।
যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। উত্তপ্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ও। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের কিছু কিছু শক্তি থাকলেও এখনও পর্যন্ত যাদবপুরে উল্লেখযোগ্য শক্তি নেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)-এর। এ বার সেই ক্ষত পূরণে উদ্যোগী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বয়ং দলনেত্রীর নির্দেশেই শুক্রবার রাতে বৈঠকে বসে টিএমসিপি। আগে এ নিয়ে রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং ফিরহাদ হাকিমের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়েছে। যাদবপুরে কী ভাবে শক্তিশালী ইউনিট তৈরি করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়। এর পরেই শুক্রবার রাতে রাজন্যা ও সঞ্জীবের কথা ঘোষণা করলেন টিএমসিপির রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, কার উপরে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয় দলের শীর্ষ স্তরে। নেতৃত্বের তরফে রাজন্যার নাম আসে। আগেই এই খবর জানতে পেরে রাজন্যাকে আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে ফোন করা হলে শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি এখনও কিছু জানি না। কোনও কিছু সিদ্ধান্ত হয়ে থাকলে সেটা নেতৃত্বই বলতে পারবেন।’’ পরে রাজন্যা বলেন, ‘‘দল আমায় যে দায়িত্ব দিয়েছে তা সঠিক ভাবে পালন করাই হবে আমার লক্ষ্য। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আগেও ইউনিট ছিল আমাদের। এ বার আরও শক্তিশালী সংগঠন তৈরি করতে হবে।’’
এ প্রসঙ্গে টিএমসিপির রাজ্য সহ-সভাপতি প্রান্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘যাদবপুরে সাম্প্রতিক ঘটনার পরে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের সাংগঠনিক শক্তি বাড়ুক। আগে থেকেই আমাদের ইউনিট রয়েছে যাদবপুরে। সেটা কী ভাবে আরও শক্তিশালী করা যায় তা নিয়ে আজই বৈঠক হবে।’’
টিএমসিপি সূত্রে জানা গিয়েছে, নেতৃত্বের কাছে প্রথম পছন্দ রাজন্যা হলেও এখন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের পর্যবেক্ষক সঞ্জীবের নামও ভাবনার মধ্যে ছিল। তবে শুক্রবার রাতের বৈঠকে ইউনিটের সভাপতি হিসাবে রাজন্যার নামে চূড়ান্ত সিলমোহর পড়ে।
রাজন্যা এখন টিএমসিপি-র দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সহ-সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের পর্যবেক্ষক। রাজ্য রাজনীতিতে তাঁর মুখ পরিচিত হয়ে ওঠে গত ২১ জুলাই। ধর্মতলায় দলের সমাবেশে ছাত্রনেতা হিসাবে তিনিই একমাত্র নজর কেড়েছিলেন। ঝাঁঝালো বক্তৃতা ও স্লোগানের দৌলতে আলোচনায় চলে আসেন সোনারপুরের মেয়ে রাজন্যা।
যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পরেও তাঁকে আন্দোলনে থেকেছেন। তাঁর উপরে হামলার অভিযোগ ওঠে একটি বাম ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে। তাঁকে আঁচড়ে, খামচে জখম করা হয়েছিল বলে সংবাদমাধ্যমে দাবি করেন রাজন্যা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy