Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
Holi 2023

ভেজাল রং বিক্রির অভিযোগ শহরে, পুলিশি নজরদারির অভাব নিয়ে প্রশ্ন

সোমবার থেকেই শহরে রঙের উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে, এ দিন রং খেলার সঙ্গে গোটা শহর জুড়ে ভেজাল রং বিক্রির অভিযোগও উঠেছে।

A Photograph of people buying colours for Holi

বিকিকিনি: শহরে রঙের পসরা। সোমবার, জানবাজারে।  ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২৩ ০৫:২৩
Share: Save:

ভাল রঙের খোঁজ করতে দোকানের তাকের তলা থেকে বেরোল ছোট শিশি। কী ভাবে সেই রং ব্যবহার করতে হবে, তা জানতে চাইতেই দোকানি বললেন, ‘‘কয়েকটা দানা আর সঙ্গে একটু জল হাতে নিয়ে শুধু হাতে মেখে নেবেন। যার মুখে লাগাবেন, সাত দিনেও ঘষে ঘষে তুলতে পারবে না!’’ কী দিয়ে ওই রং তৈরি, জানতে চাইতেই দোকানি হেসে বললেন, ‘‘সব কিছু জেনে কী কোনও লাভ আছে! এক দিনই তো রং খেলবেন।’’

সোমবার থেকেই শহরে রঙের উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে, এ দিন রং খেলার সঙ্গে গোটা শহর জুড়ে ভেজাল রং বিক্রির অভিযোগও উঠেছে। অভিযোগ, বহু জায়গায় পুলিশের নাকের ডগায় সবটা ঘটলেও ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি দোলের এক দিন আগেও। এখানেই উঠছে প্রশ্ন, ভেষজের নামে ভেজাল বা ক্ষতিকারক রং বিক্রির এই দৌরাত্ম্য আটকানো যাবে কবে? পুলিশকর্তাদের একাংশের যদিও দাবি, যেখানে যেমন প্রয়োজন, সেখানে তেমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বহু জায়গায় রং খেলার আগে থেকে দোকানিদের সতর্ক করা হয়েছে। লালবাজারের এক পুলিশকর্তা যদিও বলছেন, ‘‘রঙের কোনটা ভেষজ, আর কোনটা ভেজাল, সেটা বুঝতে পারাটা সব থেকে কঠিন কাজ। ফলে, পুলিশের পক্ষেও কাজটা কঠিন হয়ে যায়। তার পরেও প্রতিটি থানাকেই বিষয়টি নজর রাখার কথা বলা হয়েছে।’’

পুলিশকর্তারা ‘নজরদারি’র কথা বললেও বাস্তব চিত্র যদিও অন্য কথা বলছে। চাঁদনি চক থেকে শুরু করে মানিকতলা, হাতিবাগান, কসবা-সহ একাধিক বাজারে দেখা গেল, ভেষজ নামে বিক্রি হওয়া অধিকাংশ প্যাকেটেই তা লেখা নেই। যে সমস্ত রং বিক্রি হচ্ছে, তার উপাদান নিয়ে প্রশ্ন করে সদুত্তর মেলেনি কোথাওই।

যদিও আবিরের পাশাপাশি এমন রঙেই শহরের বিভিন্ন জায়গা রঙিন হতে দেখা গিয়েছে সোমবার। দিন সাতেক আগে থেকেই শহরের ইতিউতি শুরু হওয়া রং খেলার বাঁধ ভেঙেছে এ দিন। রং খেলার চিত্র মিলিয়ে দিয়েছে উত্তর কলকাতার সঙ্গে দক্ষিণ কলকাতাকে। বড়বাজারেও বিকেলের পর থেকে দেদার চলেছে উৎসব। স্কুল-কলেজের বাইরে কমবয়সিদের রং খেলতে দেখা গিয়েছে। শিয়ালদহ চত্বরে একটি কলেজের বাইরে বন্ধুদের রং মাখাতে আবির হাতে অপেক্ষা করছিলেন ঐশী দেব। তাঁর কথায়, ‘‘কয়েক দিন আগে থেকেই খেলা হচ্ছে। আজ তো হুল্লোড় হবে। কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না।’’ একই ছবি ছিল যাদবপুর চত্বরেও। সকালের দিকে রং খেলা দেখা যায় একাধিক জিম চত্বরে। অনেককে রং মেখে বাইক ছোটাতেও দেখা গিয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Holi 2023 Adulteration Effects of Colours
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy