ফাইল চিত্র
বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)-এর নতুন একটি বিজ্ঞপ্তি ঘিরে আতান্তরে পড়েছেন কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি ডিজিসিএ নির্দেশ দিয়েছে, ডিউটিতে থাকা এটিসি অফিসারদের ব্রেথ অ্যানালাইজ়িং (বিএ) পরীক্ষা আবার চালু করতে হবে। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে সেই পরীক্ষা। নির্দেশ অনুযায়ী, প্রতি শিফটে থাকা অফিসারদের মধ্যে পাঁচ শতাংশের এই পরীক্ষা হবে।
এই পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। কিন্তু দিল্লি হাইকোর্টের একটি নির্দেশের কথা উল্লেখ করে ডিজিসিএ নতুন বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, একটি যন্ত্রে এক জন অফিসারের পরীক্ষার পরে ১২ ঘণ্টার মধ্যে সেই যন্ত্র পুনর্ব্যবহার করা যাবে না। এমনিতে যে পাইপ মুখে লাগিয়ে পরীক্ষা করা হয়, সেটি এক বার ব্যবহারের পরে ফেলে দেওয়া হয়। অনেকে ব্যক্তিগত পাইপ রাখেন। সেটি দিয়ে পরীক্ষা করে ধুয়ে আবার রেখে দেন।
নতুন বিজ্ঞপ্তির পরে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের প্রশ্ন, এ বার অনেক বেশি ব্রেথ অ্যানালাইজ়ার কিনতে হবে। সে ক্ষেত্রে কেন পাইপ বদলে নিলে হবে না? অফিসারদের দাবি, ডিজিসিএ জানিয়েছে, এক জন পাইপে ফুঁ দেওয়ার পরে সেই যন্ত্রে অনেকক্ষণ হাওয়া থেকে যায়। ফলে ওই যন্ত্র দিয়ে আর এক জনের পরীক্ষা করলে সেই হাওয়া তাঁর শরীরে ঢুকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
এটিসি অফিসারদের সংগঠনের পূর্ব ভারতের সম্পাদক কৈলাসপতি মণ্ডল বলেন, ‘‘প্রতি শিফটে আমাদের ২৫ জন কর্মী আসছেন। পাঁচ শতাংশ মানে বড়জোর দু’জনের পরীক্ষা হবে। সারা দিনে হবে ছ’জনের।’’ কিন্তু কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, অফিসারের সংখ্যা বাড়লে দেখা দেবে সমস্যা।
অভ্যন্তরীণ উড়ানের পাইলট ও বিমানসেবিকাদের ক্ষেত্রে আপাতত ১০ শতাংশের এখন ব্রেথ অ্যানালাইজ়িং পরীক্ষা হচ্ছে। তবে একটি উড়ান সংস্থার এক কর্তা বলেন, ‘‘কলকাতা থেকে ভোরে পাঁচটি বিমান ছাড়লে পাইলট ও বিমানসেবিকা মিলিয়ে ৩০ জন হবেন। তার দশ শতাংশ অর্থাৎ তিন জনের জন্য সকালেই তিনটি যন্ত্র লাগবে। দুপুরে অন্য উড়ানে লাগবে আরও যন্ত্র।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy