প্রতীকী ছবি
পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্ন বাইরে বেরোনোর অভিযোগ উঠেই চলেছে। মাধ্যমিকের পরে এ বার আইসিএসই বোর্ডের নবম শ্রেণির পরীক্ষায় সেই একই অভিযোগ উঠছে। বুধবার বেনিয়াপুকুর থানায় এমনটাই জানিয়েছেন কয়েক জন অভিভাবক।
চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বাংলা প্রশ্ন বাইরে বেরোনোর অভিযোগ উঠেছিল। এ বার আইসিএসই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ দায়ের হল। বেনিয়াপুকুর থানা এলাকার বাসিন্দা কয়েক জন ছাত্রের কাছে ওই বোর্ডের নবম শ্রেণির পরীক্ষার কর্মাশিয়াল স্টাডিজ়ের প্রশ্ন পরীক্ষার আগের রাত, মঙ্গলবারেই চলে আসে। বুধবার পরীক্ষা শুরুর আগে অ্যালবানি হল পাবলিক স্কুলের কয়েক জন অভিভাবক এমনই অভিযোগ দায়ের করতে সেই প্রশ্ন নিয়ে বেনিয়াপুকুর থানায় যান। পরীক্ষার পরে দেখা যায়, বেরিয়ে যাওয়া প্রশ্নের সঙ্গে মূল প্রশ্ন মিলে গিয়েছে। অভিভাবকদের দাবি, তাঁরা বোর্ডে চিঠি লিখে অভিযোগ জানিয়েছেন। বেনিয়াপুকুর থানা এলাকার বাসিন্দা শেখ আসাদুল্লা নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘‘গত বছরও ওই স্কুল থেকে একাদশ শ্রেণির হিসাবশাস্ত্র পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল। সেই প্রশ্ন দু’হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছিল।’’ সে বারেও থানা এবং আইসিএসই বোর্ডে অভিযোগ জানিয়েছিলেন অভিভাবকেরা।
তবে এ বারের অভিযোগ আরও মারাত্মক। কারণ, গত বার স্কুলেরই তৈরি প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেখানে এ বছর প্রশ্ন ফাঁসের যে অভিযোগ উঠেছে, তা আইসিএসই বোর্ডের তৈরি করা। যা ওই বোর্ডের অধীনস্থ স্কুলগুলিতে পাঠানো হয়েছে। আইসিএসই বোর্ড এ বছর থেকেই নবম এবং একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি করছে। তবে পরীক্ষার বাকি আয়োজন এবং খাতা দেখা সবই করছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেখানে বোর্ড কোনও হস্তক্ষেপ করবে না।
আইসিএসই বোর্ড সূত্রের খবর, নির্দিষ্ট পরীক্ষার আগের দিন বিকেলে স্কুলের পোর্টালে প্রশ্নপত্র পাঠায় বোর্ড। সেখান থেকেই প্রশ্ন ছাপানো হয়। প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কী ভাবে সেই প্রশ্নপত্র আগের রাতে বাইরে চলে গেল?
ওই স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের স্কুলে যথেষ্ট নিরাপত্তার সঙ্গেই প্রশ্নপত্র রাখা হয়। স্কুল থেকে তা বাইরে যাওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই। স্কুলের এক কর্মকর্তার কথায়, ‘‘যে প্রশ্ন বাইরে বেরিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, তা আমাদের শিক্ষকেরা তৈরি করেননি। আইসিএসই বোর্ডের তৈরি প্রশ্ন। স্কুল থেকে প্রশ্ন বাইরে কোনও ভাবেই বেরোয়নি।’’
বেনিয়াপুকুর থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানান, বিষয়টি যা দেখার আইসিএসই বোর্ড দেখবে। আইসিএসই বোর্ডের সচিব জেরি অ্যারাথুন বলেন, ‘‘অ্যালবানি হল পাবলিক স্কুল থেকেই যে প্রশ্ন বেরিয়েছে তার নির্দিষ্ট প্রমাণ নেই। আইসিএসই বোর্ডের অধীনস্থ আরও অনেক স্কুল আছে শহরে। তাই ওই স্কুলকে অভিযুক্ত করা ঠিক নয়। তবে কী ভাবে, কী হয়েছে তদন্ত করে দেখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy