আইনজীবী অসীমা আনসার।
যে মানুষটি আদালতে দাঁড়িয়ে অন্যকে সুবিচার পাইয়ে দেন, সেই তাঁকেইএ বার পারিবারিক হিংসার শিকার হতে হল। আর অন্যের হয়ে নয়, এ যাত্রা নিজের হয়েই আইনি লড়াইয়ে নামলেন তিনি।
অসীমা আনসার। কলকাতার আনোয়ার শাহ রোডের বাসিন্দা। পেশায় তিনি এক জন সরকারি আইনজীবী। নিউটাউনের হাতিয়ারার বাসিন্দা মহম্মদ আলি মণ্ডলের সঙ্গে ২০১৬-য় বিয়ে হয় তাঁর। অসীমার অভিযোগ, তিনি কাজ করুন এটা কখনওই তাঁর স্বামী ও শ্বশুর চাইতেন না। তাই বিয়ের পর থেকেই কাজ ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে শুরু করেন তাঁরা।কিন্তু সেই চাপের কাছে কিছুতেই মাথা ঝোঁকাননি অসীমা। ঝামেলার সূত্রপাত এখান থেকেই।
অসীমার অভিযোগ, এই চাকরি ছাড়ার বিষয়টি নিয়েই দিনের পর দিন তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলতে থাকে। গত বৃহস্পতিবার পরিস্থিতি চরমে ওঠে। একই বিষয় নিয়ে ওই দিনফের অশান্তি শুরু হয়। অভিযোগ, শ্বশুর হাজি কওসর মল্লিক ও তাঁর স্বামী মহম্মদ আলি অসীমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এমনকি, মারধরও করা হয় তাঁকে। শুধু তাই নয়, ঘরের ভিতর আটকেও রেখে দেন।ওই দিন বিকেলে এক প্রতিবেশীর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করে অসীমা বিষয়টি তাঁকে জানান। তাঁরাই টালিগঞ্জে অসীমার বাপেরবাড়ির লোককে খবর দেন।
দেখুন ভিডিয়ো
আরও পড়ুন: তিন দিন বৃদ্ধা মাকে ঘরবন্দি করে জামাইষষ্ঠীর নেমন্তন্নে গেল ছেলে-বৌমা!
খবর পেয়ে অসীমার মা এবং আরও কয়েক জন এসে তাঁকে উদ্ধার করেন। এর পর তাঁরা নিউটাউন থানায় অসীমার শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অসীমার স্বামী মহম্মদ আলিকে গ্রেফতার করে। তবে শ্বশুর কওসর মল্লিক ও বাকি অভিযুক্তরা পলাতক। তাঁদের খোঁজেও তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: জল খেতে ঢুকে ধর্ষণ, রিজেন্ট পার্কে গ্রেফতার বাংলাদেশি যুবক
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy