আরজি কর-কাণ্ডে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের। —ফাইল চিত্র
আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় একাধিক জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে নিজেদের পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণকে স্বাগত জানালেন আরজি করের বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা। তবে একই সঙ্গে আরও তিন আর্জির কথা জানিয়েছেন তাঁরা। পড়ুয়াদের আশা, হাই কোর্ট তাঁদের এই আর্জিগুলিকে মান্যতা দেবে।
মঙ্গলবার আরজি কর মামলা সংক্রান্ত কেস ডায়েরি দুপুর ১টার মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। আরজি করের প্রাক্তন তথা কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে স্বেচ্ছায় ছুটিতে পাঠাতে বলে আদালত। শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, “চিকিৎসকদের মানসিক অবস্থা বুঝতে পারছি। প্রয়োজনে নোটিস জারি করে আদালত তাঁদের বক্তব্য শুনবে।”
আরজি করের ঘটনায় হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণের কথা প্রকাশ্যে আসতেই তাকে স্বাগত জানান পড়ুয়ারা। একই সঙ্গে তাঁরা জানান, বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার তদন্ত চান তাঁরা। এর পাশাপাশি পড়ুয়াদের আরও দুই আর্জি হল, হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং নিহত চিকিৎসকের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনতে হবে। আরজি করের বিক্ষোভরত এক চিকিৎসক আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, “সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হোক। শুধু আন্দোলনকারীরা নন, গোটা রাজ্য ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখতে চাইছে।”
মঙ্গলবারের শুনানিতে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, “একটি আবেদনে বলা হয়েছে দেখলাম, চিকিৎসকেরা ধর্না দিচ্ছেন। এটা সত্যি হলে রোগীরা ভুক্তভোগী হবেন। এটা উচিত নয়। ওই ঘটনা শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, সারা ভারতে ছড়িয়ে পড়েছে। খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।” প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ নিয়ে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের বক্তব্য, তাঁরা কর্মবিরতিতে গেলেও কোনও হাসপাতালেই জরুরি বা ইমার্জেন্সি বিভাগ বন্ধ রাখা হয়নি। সেখানে রোগীরা পরিষেবা পাচ্ছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy