যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে লাগানো সেই বিজ্ঞপ্তি। নিজস্ব চিত্র
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিনা অনুমতিতে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ। গেটগুলিতে লাগানো সেই বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার কালো কালি লেপে দেওয়া হল। পড়ুয়াদের একাংশ ওই বিজ্ঞপ্তির বিরোধিতা করলেও কালি লাগানোর ঘটনার দায় কেউ নেননি।
ক্যাম্পাসে বার বার বহিরাগতদের আনাগোনা এবং মদ ও মাদক সেবন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গত অগস্ট মাসে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল বুরো-ও ক্যাম্পাসে ঘুরে গিয়েছে। এর পরে কর্তৃপক্ষ সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করলেও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। পুজোর ঠিক আগে এক বহিরাগত যুবকের হাতে নিগৃহীত হন ক্যাম্পাসের টিএমসিপি-র এক নেতা।
এর পরেই পুজোর ছুটির মধ্যে ক্যাম্পাসের সব ক’টি গেটে ওই বিজ্ঞপ্তি ঝোলানো হয়েছিল। তাতে লেখা হয়েছে, বিনা অনুমতিতে অথবা উপযুক্ত কারণ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বহিরাগতদের প্রবেশ কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ। কিন্তু একটি গেটের বিজ্ঞপ্তিতেই কালি লেপে দেওয়া হয় এ দিন। ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র সংসদের সম্পাদক গৌরব দাস বলেন, ‘‘ছুটির মধ্যে কর্তৃপক্ষ সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা না করেই ওই বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। আমরা তার বিরোধিতা করছি। কিন্তু কালি লাগানোর ঘটনা আমরা জানি না।’’ কলা বিভাগের ছাত্র সংসদও কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে। ওই ছাত্র সংসদ এসএফআইয়ের নেতৃত্বাধীন। তাদের পক্ষ থেকে কর্তৃপক্ষকে এই নিয়ে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাসের এসএফআই নেতা তর্পণ সরকার এ দিন জানিয়েছেন, তাঁরা চান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পক্ষকে নিয়ে কর্তৃপক্ষ বৈঠকে বসুন। তর্পণও বিজ্ঞপ্তিতে কালি তাঁরা লাগাননি বলে জানিয়েছেন। সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য এ দিন বলেন, ‘‘যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তা ক্যাম্পাসের পরিবেশ বজায় রাখতে ও ছাত্রদের স্বার্থেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy