Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Tumour

Tumour Operation: সঙ্গী বাবা, বিয়ের আগের দিন যৌথ অস্ত্রোপচার করে স্বপ্নপূরণ চিকিৎসক মেয়ের

শুক্রবার সকালে হাসপাতালে গিয়ে অস্ত্রোপচার সেরেছেন প্রিয়ঙ্কা। বাবা-মেয়ে মিলে রোগীর পেট থেকে বার করেছেন প্রায় ১০ কেজি ওজনের টিউমার।

বাবা মাখনলাল সাহার সঙ্গে মেয়ে প্রিয়ঙ্কা সাহা। রোগীর পেট থেকে বার হওয়া ১০ কেজি ওজনের টিউমার প্রিয়ঙ্কার হাতে।

বাবা মাখনলাল সাহার সঙ্গে মেয়ে প্রিয়ঙ্কা সাহা। রোগীর পেট থেকে বার হওয়া ১০ কেজি ওজনের টিউমার প্রিয়ঙ্কার হাতে। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২১ ১৬:৫৮
Share: Save:

লক্ষ্য ছোট থেকেই স্থির ছিল। বড় হয়ে বাবার মতো ডাক্তার হওয়া। কিন্তু স্বপ্ন ছিল, বাবার সঙ্গে অস্ত্রোপচারে যোগ দেওয়া। বিয়ের আগের দিন সেই স্বপ্নপূরণ হল প্রিয়ঙ্কা সাহার। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। চিকিৎসকের মৌলিক ধর্ম পালন করে পর দিন বিয়ের কয়েক ঘণ্টা আগে রোগীকে দেখতেও গেলেন প্রিয়ঙ্কা।
প্রিয়ঙ্কার বাবা মাখনলাল সাহা এসএসকেএম হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ছিলেন। মাসখানেক আগেই অবসর নিয়েছেন তিনি। আগে বেশ কয়েক বার ছোটখাটো অস্ত্রোপচারের সময় মেয়ে ছিলেন বাবার সঙ্গে। কিন্তু বড় জটিল অস্ত্রোপচারের সময় বাবার সঙ্গে থাকার সুযোগ আগে আসেনি। বর্তমানে ভুবনেশ্বরে এমসের চিকিৎসক প্রিয়ঙ্কা। বিয়ের জন্যই সম্প্রতি কলকাতায় এসেছেন তিনি। আর এই সময়েই চলে এল সেই সুযোগ। প্রিয়ঙ্কার কথায়, ‘‘হঠাৎ এই ভাবে সুযোগ চলে আসবে ভাবিনি। অস্ত্রোপচার দু’দিন আগেই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোনও কারণে তা হয়নি। তার পর শুক্রবার সকালে সেটা হল।’’

রাণীকুঠির একটি বেসরকারি হাসপাতালে এক রোগীর শরীরে টিউমারের জটিল অস্ত্রোপচারের জন্য মাখনলালবাবুর সাহায্য চেয়েছিলেন তাঁর সতীর্থ চিকিৎসক দীপঙ্কর সরকার। ওই কথা জানতে পেরেই মেয়ে সিদ্ধান্ত নেন, অস্ত্রোপচারের সময় বাবার সঙ্গে তিনিও থাকবেন। সেই মতো শুক্রবার সকালে হাসপাতালে গিয়ে অস্ত্রোপচার সেরেছেন প্রিয়ঙ্কা। বাবা-মেয়ে মিলে ওই রোগীর পেট থেকে বার করেছেন প্রায় ১০ কেজি ওজনের টিউমার।

মাখলনালবাবু বলছেন, ‘‘মেয়ে যে ভাবে এক জন চিকিৎসকের ধর্ম পালন করল, তা আজকাল তরুণ চিকিৎসকদের মধ্যে দেখা যায় না। বাবা হিসেবে নয়, এক জন চিকিৎসক হিসেবে এ কথা বলতে চাই আমি। শনিবার বিয়ের কয়েক ঘণ্টা আগেও ওই রোগীকে দেখে এসেছে ও। আজ রবিবারও আবার যাবে। গিয়ে দেখে আসবে। ওই রোগীও এখন বিপদমুক্ত। ভাল আছেন।’’

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। সার্জারিতে স্নাতকোত্তরের পড়াশোনার জন্য তার পর গিয়েছেন মুম্বইয়ে। এখন ভুবনেশ্বরের এমসে অঙ্কো-সার্জারি নিয়ে গবেষণা করছেন তিনি।

অন্য বিষয়গুলি:

Tumour SSKM AIIMS
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE