ফাইল চিত্র।
প্রশ্নের ধরাবাঁধা সাজেশন নয়। বরং উত্তর লেখার প্রশিক্ষণ। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কী ভাবে উত্তর লিখলে পুরো নম্বর পাওয়া যেতে পারে, এ বার তারই কৌশল শেখাতে উদ্যোগী হয়েছেন প্রধান শিক্ষকদের একাংশ। প্রায় ১৫০ জন প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকা মিলে তৈরি করেছেন একটি ওয়েবিনার কমিটি। সেই কমিটির উদ্যোগেই নভেম্বর মাস থেকে শুরু হতে চলেছে প্রশিক্ষণের এই ওয়েবিনার। তবে যে কোনও ওয়েবিনারে যে হেতু নির্দিষ্ট সংখ্যক ব্যক্তি অংশ নিতে পারেন, তাই ঠিক হয়েছে, ওই ওয়েবিনার ইউটিউবেও দেখানো হবে। এমনটাই জানিয়েছেন ওই প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের উপসচিব পার্থ কর্মকার আগে মধ্যশিক্ষা পর্ষদেরও উপসচিব (শিক্ষা) ছিলেন। সেই কারণে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের প্রস্তুতি কী ভাবে নেওয়া উচিত এবং কী ভাবে লিখলে নম্বর বাড়ানো যায়, সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রয়েছে তাঁর। তাই ওয়েবিনারটি কী ভাবে পরিচালনা করলে পড়ুয়ারা উপকৃত হবে, সে ব্যাপারে নানা পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা এগিয়ে আসছে। পুজোর ছুটির পরে স্কুল খুললেই টেস্ট। প্রধান শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, প্রথমে শুরু হবে মাধ্যমিকের ওয়েবিনার। তার পরে উচ্চ মাধ্যমিকের। যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য বললেন, ‘‘মূলত পার্থবাবুর নেতৃত্বেই এই ওয়েবিনার হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের প্রতিটি বিষয়ের জন্য থাকবেন একাধিক বিশেষজ্ঞ শিক্ষক। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষক, কেউ বা প্রধান পরীক্ষক। তাই তাঁরা জানেন, কী ভাবে উত্তর লিখলে পুরো নম্বর পাওয়া যাবে। ওই বিশেষজ্ঞেরা নম্বর বাড়ানোর বিষয়ে নানা পরামর্শ দেবেন।’’
পার্থ জানান, অনেক সময়ে অনেক প্রশ্নের ক্ষেত্রেই দেখা যায়, এক জন পরীক্ষার্থী হয়তো দীর্ঘ উত্তর লিখল, কিন্তু ওই উত্তরের সব থেকে উল্লেখযোগ্য শব্দটাই লিখল না। তাই সে নম্বর কম পেল। যেমন, কুঁজোর জল কেন ঠান্ডা থাকে, এই প্রশ্নের উত্তরে কোনও পড়ুয়া হয়তো বিস্তারিত ভাবে অনেক কিছু লিখলেও ‘লীন তাপ’ শব্দটাই লিখল না। সে ক্ষেত্রে সে পুরো নম্বর পাবে না। ‘লীন তাপ’ কথাটাই বলা যায়, ওই উত্তরের ‘কি ওয়ার্ড’ বা সব থেকে প্রয়োজনীয় শব্দ। বিশেষজ্ঞেরা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে এ রকমই সব ‘কি ওয়ার্ড’ পরীক্ষার্থীদের বলে দেবেন। শূন্যস্থান পূরণ থেকে শুরু করে ছোট প্রশ্নের উত্তর কতটা লিখলে এবং কী ভাবে লিখলে পুরো নম্বর পাওয়া যাবে, তা-ও বলা হবে ওই ওয়েবিনারে।
প্রধান শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, রাত সাড়ে আটটার পরে ওই ওয়েবিনার শুরু হবে। পাশাপাশি ইউটিউবেও দেখানো হবে। যারা ওয়েবিনারে অংশ নিতে পারবে না, তারা ইউটিউবে দেখবে। প্রতিটি বিষয়ে অন্তত তিন জন করে বিশেষজ্ঞ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের এই ওয়েবিনারের মাধ্যমে পরামর্শ দেবেন। রাজ্য জুড়ে পরীক্ষার্থীরা সকলে এই ওয়েবিনার দেখতে পাবে। প্রধান শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, এর আগে প্রধান শিক্ষক, প্রধান শিক্ষিকা, বিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট-সহ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের পেশাগত নানা সমস্যা নিয়ে ওয়েবিনার হয়েছে। কিন্তু এই ওয়েবিনার হবে পড়ুয়াদের স্বার্থে।
পার্থের মতে, এখন শহরে হোক বা গ্রামাঞ্চলে, প্রায় সকলের পরিবারেই অন্তত একটি করে স্মার্টফোন রয়েছে। স্মার্টফোন থাকলেই এই ওয়েবিনার শোনা যাবে। তা ছাড়া, ওই প্রশিক্ষণের ভিডিয়ো ইউটিউবে থাকায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ বার বার দেখে নিতে পারবে পড়ুয়ারা। হরিনাভি ডিভিএএস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বিক্রমজিৎ মণ্ডল বললেন, ‘‘এই ওয়েবিনারের কথা আমি আমাদের স্কুলের পড়ুয়াদের বলেছি। ওরা খুবই উৎসাহী। আমরা ১৫০টি স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা মিলে ওয়েবিনার কমিটি তৈরি করেছি। তবে, ওই কমিটির বাইরের স্কুলের পড়ুয়ারাও এই ওয়েবিনারে অংশ নিতে পারবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy