Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Calcutta University

Calcutta University: এক দিনে জোড়া পরীক্ষা নিয়ে আপত্তি অধ্যক্ষদের

যে অধ্যক্ষেরা আপত্তি জানিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ক্যানিংয়ের বঙ্কিম সর্দার কলেজের অধ্যক্ষ তিলক চট্টোপাধ্যায়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২১ ০৮:১৩
Share: Save:

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরে চূড়ান্ত সিমেস্টারের পরীক্ষায় একই দিনে দু’টি পত্রের পরীক্ষা নেওয়া নিয়ে আগে আপত্তি জানিয়েছেন পড়ুয়ারা। এ বার আপত্তি জানালেন কয়েকটি কলেজের অধ্যক্ষেরাও।

সূচি অনুযায়ী, চূড়ান্ত সিমেস্টারের থিয়োরেটিক্যাল পরীক্ষা ২৯ এবং ৩০ জুলাই নেওয়া হবে। ওই দু’দিনই দু’টি করে পত্রের পরীক্ষা হবে বলে জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পড়ুয়ারা ইতিমধ্যেই আপত্তি জানিয়েছেন। শুক্রবার এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে তালা ভেঙে ঢুকে বিক্ষোভ দেখায় ‘ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস ইউনিটি’। সূত্রের খবর, শুধু পড়ুয়ারাই নন, কিছু কলেজের অধ্যক্ষেরাও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন, এই
ভাবে পরীক্ষা নেওয়া বাস্তবসম্মত হচ্ছে না।

যে অধ্যক্ষেরা আপত্তি জানিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ক্যানিংয়ের বঙ্কিম সর্দার কলেজের অধ্যক্ষ তিলক চট্টোপাধ্যায়।
রবিবার তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কলেজ গ্রামীণ অঞ্চলের কলেজ। এখানকার পড়ুয়ারা অনেকেই দুর্গম জায়গায় থাকে। ইন্টারনেটের সংযোগ সব সময়ে ঠিক থাকে না। সে ক্ষেত্রে একটি পরীক্ষা দিয়ে, সেই খাতা সাইবার কাফেতে গিয়ে ইমেল করে কলেজকে পাঠিয়ে, আবার এক ঘণ্টার মধ্যে বাড়ি
ফিরে পরীক্ষায় বসতে হবে। আবার গিয়ে সেই খাতাও ইমেল করতে হবে। এটা ঠিক বাস্তবসম্মত নয়।’’ উল্লেখ্য, প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দা বহু পড়ুয়ার ইন্টারনেটের সংযোগ ঠিক না থাকায় তাঁরা কলেজে গিয়ে খাতা জমা দেন। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) আশিস চট্টোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে পরীক্ষার দিনক্ষণ বদল করা সম্ভব নয়। তবে শুক্রবার ছাত্র-বিক্ষোভের পরে তিনি জানিয়েছিলেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।

অন্য দিকে, স্নাতকের পুরোনো নিয়মে (১+১+১) পার্ট থ্রি পরীক্ষার ফর্ম পূরণ অনলাইনে করতে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিলেই সেটি ভুল বা ‘ইনভ্যালিড’ দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিবিসিএস ব্যবস্থায় পরীক্ষা হয় সিমেস্টার পদ্ধতিতে। পুরনো নিয়মে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হত। এখনও বেশ কিছু পরীক্ষার্থী সাপ্লিমেন্টারি পেয়ে সেই পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য রয়ে গিয়েছেন। তাঁরাই ফর্ম পূরণ করতে গিয়ে এমন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন বলে অভিযোগ।

‘ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস ইউনিটির’ আহ্বায়ক অনীক দে জানান, এই বিষয়টি সমাধানের দাবি তাঁরা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন। তবে একটি কলেজের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, ভর্তির পরে কোনও পড়ুয়াকে ১০ বছরের মধ্যে পাশ করে বেরোতে হয়। এ ক্ষেত্রে হয়তো ওই পড়ুয়াদের ১০ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। তাই তাঁদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ফর্ম পূরণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হচ্ছে না। তবে অনীকের দাবি, ২০১৫ বা ২০১৬ সালে ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Examination Calcutta University Graduation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy