গত জুলাইয়ে সরোবরে যখন মাছ মারা যাচ্ছিল, স্থানীয়েরা এ ভাবেই তুলে আনছিলেন মরামাছ। ফাইল চিত্র
রুই, কাতলা বা মৃগেলের অভাব নেই সরোবরে। এই ধরনের মাছ শুধু যে সংখ্যায় প্রচুর তা নয়, সেগুলির ওজনও যথেষ্ট। ফলে মাছ ধরার প্রতিযোগিতা আয়োজনে কোনও অসুবিধে হবে না বলে মনে করছে ওয়েস্ট বেঙ্গল অ্যাঙ্গলার্স অ্যাসোসিয়েশন। এ নিয়ে পোস্টারও দেওয়া হবে সংগঠনের তরফে। কয়েক মাস আগে সুভাষ সরোবরে মাছ মারা যাওয়ার ঘটনার পরে এ বছর সেখানে মাছ ধরার প্রতিযোগিতা নিয়ে উৎসাহে ভাটা পড়েছে বলে আশঙ্কা সংগঠনের সদস্যদের। এ বছর অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা কমবে বলেই তাঁদের অনুমান। প্রতিযোগী টানতে তাই পোস্টার দেওয়ার কথা ভেবেছেন তাঁরা।
সংগঠনের এক সদস্য সুব্রত সেন বলেন, ‘‘জুলাই মাসে সুভাষ সরোবরে যে সব মাছ মারা গিয়েছিল তার মধ্যে ‘সিলভার কার্প’ বেশি ছিল। রুই, কাতলা বা মৃগেল বেশি মারা যায়নি। মাছ ধরার প্রতিযোগিতায় রুই, কাতলারই চাহিদাই বেশি। সুতরাং প্রতিযোগিতায় ভাটা পড়ার আপাতত কোনও আশঙ্কা নেই।’’
সুব্রতবাবু জানান, নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে সুভাষ সরোবরে আট দিন ব্যাপী মাছ ধরার প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বর্ধমান এবং উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিযোগীরা এখানে অংশগ্রহণ করেন। আগামী সপ্তাহ থেকেই এই প্রতিযোগিতার জন্য টিকিট বিক্রি করা হবে। আগেই অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা যাতে না কমে যায়, তার জন্যই এই উদ্যোগ। শিয়ালদহ চত্বরে যে সমস্ত মাছ ধরার ছিপের দোকান রয়েছে সেখানে ছাড়াও সুভাষ সরোবরের বাইরে হোর্ডিং দেওয়া হবে বলে জানান সুব্রতবাবু।
কেএমডিএ সূত্রের খবর, গত জুলাই মাসে হঠাৎ করে সরোবরে প্রচুর মাছ মারা যাওয়ার পরেই প্রশ্ন ওঠে জলের মান নিয়ে। মৎস্য বিশেষজ্ঞদের ধারণা, জলের উপরিতলে অক্সিজেনের অভাব থাকায় মাছ মারা গিয়েছিল। সরোবরে মাছের চাষ ঠিক রাখতে নিয়মিত মাছ ধরা এবং এই ধরনের প্রতিযোগিতার উপরে জোর দেওয়া হয় বিশেষজ্ঞদের রিপোর্টে। সরোবরের জলের প্রসঙ্গে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, রাজ্য পরিবেশ দফতর জলের যে নমুনা পরীক্ষা করেছে তার মান ঠিক রয়েছে। অনেক সময়ে জলজ উদ্ভিদ বেশি থাকার ফলেও জলে অক্সিজেন কমে যাওয়ায় এই বিপত্তি ঘটে। তবে জল পরিষ্কার রাখতে ক্রমাগত পাম্পের মাধ্যমে অক্সিজেন দেওয়া ছাড়াও অন্য ওযুধ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। সুভাষ সরোবর কেএমডিএ-র নিয়ন্ত্রণাধীন হলেও প্রায় ৭৩ একর ওই জলাশয় রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল অ্যাঙ্গলার্স অ্যাসোসিয়েশন। তাঁদের সদস্যরাই সরবোরে মাছ ধরেন এবং রক্ষণাবেক্ষণ করেন। কেএমডিএ ওই সংস্থাকে শর্তসাপেক্ষে লিজ দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy