ফাইল চিত্র।
করোনার পরবর্তী হামলা থেকে বাঁচতে শুরু হয়েছে প্রতিষেধকের বুস্টার ডোজ়। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের কর্মীরা সেই ডোজ় পেয়েছেন, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন ট্র্যাফিক সার্জেন্টরাও। বুস্টার ডোজ় নেওয়া যাঁদের হয়ে গিয়েছে, সেই সমস্ত সার্জেন্টকে লালবাজারের তরফে জানানো হয়েছে, ট্র্যাফিক আইন অমান্যকারী যানবাহন ধরার কাজে তাঁদেরই অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। দরকারে রুজু করতে হবে মামলা। শনিবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের তরফে ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ট্র্যাফিক গার্ডগুলিকে। সেই সঙ্গে অবশ্য বলা হয়েছে, যা যা করণীয়, সবই করতে হবে কোভিড-বিধি মেনে।
পুলিশ সূত্রের খবর, কোভিডের ভয়ে এত দিন ট্র্যাফিক পুলিশ শুধু ‘সাইটেশন কেস’ করছিল। অর্থাৎ, ‘স্পট ফাইন’ অথবা ট্র্যাফিক আইন ভাঙার অভিযোগে কারও বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছিল না।
লালবাজার জানিয়েছে, গত মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। গত দু’সপ্তাহে বাহিনীর সাতশোরও বেশি সদস্য আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। এর পরেই রাস্তায় থাকা সার্জেন্টদের বলা হয়, আইন অমান্যকারীদের সামনে গিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন নেই। কারণ, তাতে পুলিশকর্মীরা সংক্রমিত হতে পারেন। তাই গত সাত দিন ধরে ট্র্যাফিক পুলিশ শুধুমাত্র ‘সাইটেশন কেস’ করেছে। কোনও ‘কম্পাউন্ড কেস’ করা হয়নি। ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা জানান, করোনা পরিস্থিতিতে নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করার মাধ্যমেও কোভিডে আক্রান্ত হতে পারেন পুলিশকর্মীরা। সে কথা মাথায় রেখেই ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
লালবাজার জানিয়েছে, ট্র্যাফিক পুলিশ বিভাগে সকলের বুস্টার ডোজ় নেওয়া হয়নি। তবে যাঁরা নিয়েছেন, শুধুমাত্র তাঁদেরই পথে নেমে জরিমানা করা বা আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
করোনার কারণে আপাতত ব্রেথ অ্যানালাইজ়ার পরীক্ষা বন্ধ রেখেছে লালবাজার। সূত্রের খবর, শীঘ্রই ফের রাতের শহরে ওই পরীক্ষা চালু করা হতে পারে। তার আগে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে অফিসারদের সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া হবে বলে সূত্রের দাবি।
এ দিকে, শনিবার বিকেলে এ নিয়ে ট্র্যাফিক পুলিশের আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার সন্তোষ পাণ্ডে। সেখানে করোনা-বিধি মেনে নিজেদের সুরক্ষিত রেখে কী ভাবে সার্জেন্টরা কাজ করবেন, তা নিয়ে আলোচনা হয়।
লালবাজার জানিয়েছে, রাস্তায় কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা যাতে সুরক্ষার সমস্ত নিয়ম মেনে চলেন, তা নিশ্চিত করতে এ দিনের বৈঠকে ট্র্যাফিক গার্ডের ওসিদের নির্দেশ দিয়েছেন ওই পুলিশকর্তা। সেই সঙ্গে রাতে বা অন্য সময়ে কর্তব্য পালনের সময়েও যাতে তাঁরা সুরক্ষিত থাকেন, সে বিষয়েও নির্দেশ দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy