ফাইল চিত্র।
কোভিড রোগীদের পক্ষে মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে বাজির দূষণ। সে কথা মাথায় রেখেই হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকাগুলি বাজিমুক্ত রাখতে থানাগুলিকে বিশেষ নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিল লালবাজার।
শনি ও রবিবার, কালীপুজো এবং দীপাবলির দিন প্রতিটি কোভিড হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকা যাতে পুরোপুরি বাজিমুক্ত থাকে, তা নিশ্চিত করতে বাহিনীর কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। এর জন্য যে সব এলাকায় হাসপাতাল রয়েছে, সেখানে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন রাখতে বলা হয়েছে।
আদালতের নির্দেশে এ বার বাজি বিক্রি বা পোড়ানো নিষিদ্ধ। একই সঙ্গে পুজো মণ্ডপে প্রতিমা দর্শনের ক্ষেত্রেও নানা বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে আদালত। এই পরিস্থিতিতে বাজি বিক্রি বন্ধ করতে ঘুম ছুটেছে পুলিশের। বৃহস্পতিবার কালীপুজোর প্রস্তুতি নিয়ে বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্তা, থানা এবং ট্র্যাফিক গার্ডের ওসিদের সঙ্গে বৈঠক করেন পুলিশ কমিশনার। আদালতের নির্দেশ বাহিনীর সকলকে ভাল ভাবে জেনে নিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া, হাসপাতালগুলি নজরদারির আওতায় নিয়ে আসা এবং এলাকার বাসিন্দাদের সচেতন করার কথাও বলা হয়েছে।
লালবাজার সূত্রের খবর, যে সব থানা এলাকায় কোভিড হাসপাতাল রয়েছে, সেখানকার বাসিন্দাদের বাজি নিয়ে সতর্ক করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে কালীপুজো ও দীপাবলিতে যাতে ছাদে উঠে লুকিয়ে কেউ বাজি পোড়াতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে ওই হাসপাতাল সংলগ্ন বহুতলগুলির ছাদে পাহারায় থাকবেন পুলিশকর্মীরা। দক্ষিণ শহরতলির একটি থানার ওসি জানান, হাসপাতাল সংলগ্ন বাসিন্দাদের কোর্টের নির্দেশ জানানো হয়েছে। বস্তিবাসীদেরও বোঝানোর কাজ শুরু হয়েছে। তবে ওই দু’দিন হাসপাতালের পাশে অতিরিক্ত পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হচ্ছে।
এ ছাড়া গত বছর যে সব এলাকায় বাজি বেশি পোড়ানো হয়েছিল বলে অভিযোগ, সেই সব এলাকার তালিকা পুলিশকে দিয়েছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। ওই এলাকাগুলির বাসিন্দাদের সতর্ক করার কাজ চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy