ইমরান আলি মোল্লা ও শেখ বাপি নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
পরিচারিকার কাজের টোপ দিয়ে বহুতল আবাসনের ফ্ল্যাটে আটকে রেখে এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। শনিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মহেশতলা থানা এলাকায়। এই ঘটনায় ইমরান আলি মোল্লা ও শেখ বাপি নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের দাবি, শনিবার ওই বহুতল আবাসনের কয়েক জন আবাসিক থানায় ফোন করে জানান, একটি ফ্ল্যাটে এক নাবালিকাকে আটকে রাখা হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই মহেশতলা থানার পুলিশ ওই ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে। চিকিৎসার পরে তাকে আপাতত একটি হোমে পাঠানো হয়েছে। নাবালিকার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলেও জানানো হয়েছে।
নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার তাকে পরিচারিকার কাজের টোপ দিয়ে ওই ফ্ল্যাটে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, এর পরে তাকে সেখানে আটকে রেখে দুই যুবক দফায় দফায় যৌন নির্যাতন করে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে ইমরান ও বাপিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই দু’জনের পরিচিত এক ব্যক্তির মালিকানাধীন ফ্ল্যাটে রাখা হয়েছিল নাবালিকাকে।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জেনেছে, মেয়েটির বাড়ি বাংলাদেশের বরিশালে। মাসখানেক আগে পরিচিত এক মহিলার সঙ্গে শাড়ি তৈরির কারখানায় কাজ করবে বলে সে ভারতে আসে। কিন্তু এ দেশে আসার পরে ওই মহিলা তাকে জানায়, কলকাতায় বার ডান্সারের কাজের ব্যবস্থা করে দিতে পারে সে। তখন ওই নাবালিকা বনগাঁ স্টেশন থেকে বাংলাদেশে তার পরিচিত এক যুবককে ফোন করলে সে মহেশতলার বাসিন্দা এক ব্যক্তির নম্বর দেয়।
নির্যাতিতা নাবালিকা তদন্তকারীদের জানিয়েছে, আমিন আলি নামে সেই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে সে। আমিন তাকেবাটানগরের একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। সেখান থেকে শেখবাপির পরিচিতের ওই ফ্ল্যাটে তাকে রাখা হয়। শেখ বাপি নিজেকে পুলিশ বলে পরিচয় দিয়ে ওই নাবালিকাকে একাধিক বার যৌন নির্যাতন করে।পরে বাপির বন্ধু ইমরানও যৌন নির্যাতন করে বলেপুলিশের কাছে অভিযোগে জানিয়েছে মেয়েটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy