—প্রতীকী চিত্র।
পোষ্যদের কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ। যা চরম আকার নিল সোমবার সকালে। এর পরে ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হল স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের ধারণা, সাংসারিক অশান্তির জেরে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই মহিলা। ঘটনার কেন্দ্রে রয়েছে দু’টি পোষা বেড়াল।
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সকালে মানিকতলা থানা এলাকার বিপ্লবী বারীন ঘোষ সরণির একটি আবাসনের দোতলার ফ্ল্যাট থেকে শিল্পী সাহা (৪১) নামে এক মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। গলায় শাড়ির ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেহটি ঝুলছিল একটি লোহার রড থেকে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই মহিলার দু’টি পোষা বেড়াল ছিল। তাদের নিয়েই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গত দেড় বছর ধরে বিবাদ চলছিল। ওই দম্পতির এক ছেলে সম্প্রতি ডিপথেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। তা নিয়েও রবিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হয়। তার পরেই এ দিন সকালে শিল্পীর ঝুলন্ত দেহ মেলে।
পুলিশের দাবি, শিল্পীর স্বামী মহাদেব তাদের জানিয়েছেন, দেড় বছর আগে তাঁর স্ত্রী দু’টি বেড়াল পুষতে শুরু করেন। তাদের দেখাশোনাও শিল্পী নিজেই করতেন। বেড়ালের কারণে ঘর নোংরা হওয়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গোলমাল চলছিল। পুলিশের দাবি, মহাদেব তাদের জানিয়েছেন, শিল্পী পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে একেবারেই সচেতন ছিলেন না। বেড়ালের কারণে ঘর নোংরা হত, যা মহাদেব মানতে পারতেন না। তিনি সব সময়ে ঘর পরিচ্ছন্ন রাখতে চাইতেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই বচসা বেধে যেত। এমন পরিস্থিতির মধ্যে আচমকাই ওই দম্পতির ১৭ বছরের ছেলে সুদীপ্ত ডিপথেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বেলেঘাটার আইডি
হাসপাতালে ভর্তি হয়। এই ঘটনার জেরে বেড়াল পোষা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে টানাপড়েন বাড়ে বলেই দাবি পুলিশের। গত তিন দিন ধরে সুদীপ্ত ভর্তি রয়েছে ওই হাসপাতালে। তাই তিন দিন ধরে মহাদেবও হাসপাতালে রয়েছেন। তাঁদের আর এক সন্তান রয়েছে এক আত্মীয়ের বাড়িতে। এ সব নিয়েই রবিবার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গোলমাল হয়। শিল্পী রাতে হাসপাতাল থেকে একাই বাড়ি ফেরেন। গোটা বিষয়টি নিয়ে তিনি মানসিক অশান্তিতে ছিলেন বলেই জানা গিয়েছে।
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, এ দিন সকালে ওই দম্পতির এক আত্মীয় তাঁদের ফ্ল্যাটে এসে শিল্পীকে ডাকাডাকি করেও সাড়া পাননি। তার পরেই শিল্পীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার কথা জানাজানি হতে আবাসনের ভিতরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। শিল্পীকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy