Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus Vaccine

Fake Vaccinations: ভুয়ো টিকা শিবির অমানবিক, বললেন পুলিশ কমিশনার, দেবাঞ্জনকে জেরায় চমকে দেওয়া তথ্য

অতিমারি শুরু হতেই মাস্ক, পিপিই কিট, স্যানিটাইজারের ব্যবসা শুরু করেন দেবাঞ্জন। কারবার রক্ষায় প্রভাবশালীদের সঙ্গে সখ্য তৈরি করেন।

দেবাঞ্জন দেব

দেবাঞ্জন দেব সংগৃহীত ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২১ ১৩:১৫
Share: Save:

কসবায় ভুয়ো টিকা শিবিরকে ‘অমানবিক কাজ’ বললেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। তিনি বলেন, ‘‘ভুয়ো টিকা শিবির করা অমানবিক কাজ। বিকৃত মানসিকতা থেকেই এই কাজ করা হয়েছে।’’ এ নিয়ে তিনি সঠিক তদন্তেরও আশ্বাস দিয়েছেন। যদিও জানিয়েছেন, এই ধরনের শিবির আয়োজন করতে পুলিশের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হয় না সব ক্ষেত্রে।

কসবায় ভুয়ো টিকা শিবিরের তদন্তে ধৃত দেবাঞ্জন দেবকে জেরা করে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বৃহস্পতিবার রাতে দেবাঞ্জনকে জেরা করেন কলকাতা পুলিশের তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রের খবর, জেরায় দেবাঞ্জন জানিয়েছেন, কী ভাবে ২৫ লক্ষ টাকা খরচ করে প্রতারণার জাল ছড়িয়েছিলেন তিনি।

কোভিড অতিমারি শুরু হতেই মাস্ক, পিপিই কিট, স্যানিটাইজারের ব্যবসা শুরু করেন দেবাঞ্জন। মেহতা বিল্ডিং থেকে ওই সমস্ত সামগ্রী কিনে চলত ব্যবসা। অবৈধ কারবার রক্ষায় কলকাতা পুরসভার প্রভাবশালীদের সঙ্গে সখ্য তৈরি করেন তিনি। এর পর থেকেই পুরসভায় অবাধ প্রবেশের দরজা খুলে যায় দেবাঞ্জনের। আইএএস অফিসার পরিচয়ে নীল বাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে ঘুরতে থাকেন। শুধু তাই নয়, কলকাতা পুরসভার নামে বেসরকারি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলেন তিনি। তদন্তে জানা যাচ্ছে, দেবাঞ্জন কলকাতার দু’টি বেসরকারি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলেন। একটা কলকাতা পুরসভার নামে। আর সেই অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে পুরসভার নগর পরিকল্পনা বিভাগের দু’জন আধিকারিকের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। যদিও আদতে সেই দু’জন আধিকারিকের কোনও অস্তিত্বই নেই ওই বিভাগে। অর্থাৎ ভুয়ো পরিচয়পত্র ব্যবহার করে বেসরকারি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল।

রাজনৈতিক যোগাযোগ বাড়তেই সমাজসেবা মূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত হন দেবাঞ্জন। মাস্ক, স্যানিটাইজার বিলি করা শুরু করেন। যদিও সেই স্যানিটাইজারও নকল বলে জানা যাচ্ছে। পরিচিতি বাড়তেই ভুয়ো টিকা শিবির করে টাকা কামানোর ছক কষেন। অভিযোগ, পুর আধিকারিক পরিচয়েই মেহতা বিল্ডিং থেকে ইঞ্জেকশন কেনেন তিনি। ভুয়ো টিকার ভায়ালে ‘স্পুটনিক ভি’ টিকার ভায়ালের লেবেলের নকল করা লেবেল লাগানো হয়। কোভিশিল্ডের ক্ষেত্রে নিজেই কম্পিউটারে তৈরি করেন ভায়ালের জন্য জাল লেবেল। দেবাঞ্জনের অফিসের কম্পিউটারে মিলেছে কোভিশিল্ডের লেবেলের গ্রাফিক। তাঁর অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে কলকাতা পুরসভার জাল স্ট্যাম্প ও লেটারহেড।

শিয়ালদহ টাকি হাউস স্কুলের ছাত্র দেবাঞ্জন চারুচন্দ্র কলেজ থেকে জুলজিতে স্নাতক হন। এর পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে জেনেটিক্স কোর্সে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু পড়া শেষ করেননি। মাঝপথেই বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দূর শিক্ষার একটি কোর্সে ভর্তি হন। সেই কোর্সও শেষ করেননি। পুলিশি জেরায় দেবাঞ্জন জানিয়েছেন, পড়াশোনার পর তিনি গান ও তথ্যচিত্রের কাজ শুরু করেন। তাঁর গানের একটি সিডিও প্রকাশিত হয়েছিল।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy