Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
Police Investigation

অপহরণের পাশাপাশি টাকা হাতানোরও ছক ছিল, দাবি পুলিশের

ধর্ষণ এবং অপহরণের দু’টি অভিযোগের তদন্তে নেমে শনিবারই শৌভিক দাস মাল নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখা। ধৃতকে দশ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

An image of Arrest

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:৩০
Share: Save:

যুবককে অপহরণ করে ফাঁসানো শুধু নয়, তাঁর থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতানোর পরিকল্পনাও করেছিল ধৃত শৌভিক দাস মাল এবং তাঁর সঙ্গী এক যুবক। মূলত, সঙ্গী ওই যুবকের পরিকল্পনাতেই পুরো কাজ করেছিলেন শৌভিক। আনন্দপুর ধর্ষণ কাণ্ডে ধৃত শৌভিককে জেরা করে এমনই তথ্য হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

ধর্ষণ এবং অপহরণের দু’টি অভিযোগের তদন্তে নেমে শনিবারই শৌভিক দাস মাল নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখা। ধৃতকে দশ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, শৌভিকের সঙ্গী ওই যুবক মুম্বইয়ের একটি সংস্থা থেকে প্রযোজনা সংস্থা তৈরির নাম করে প্রায় সাত কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু ঋণ শোধ করতে না পারায় মুম্বই পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। মুম্বই পুলিশের তরফে ওই যুবকের খোঁজ শুরু করেছিল। অভিযুক্ত ওই যুবকের খোঁজে বার কয়েক কলকাতাতেও আসে সেখানকার পুলিশ। চাপে পড়ে ঋণের টাকা শোধ দিতেই বেহালার যুবককে শৌভিকের সঙ্গী অপহরণের পরিকল্পনা করেন বলে মনে করছে পুলিশ। আর এই কাজে তাঁরা সঙ্গে নেন শৌভিক এবং ধর্ষণের অভিযোগকারিণী তরুণীকে।

ধৃত শৌভিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার তথ্য হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। পুলিশি জেরায় শৌভিক দাবি করেছেন, প্রযোজনা সংস্থার কেটারিংয়ের দায়িত্ব দিয়েছিলেন সঙ্গী ওই যুবক। তার অগ্রিম হিসেবেই তাঁকে এই টাকা দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ যদিও গোটাটাই খতিয়ে দেখছে। প্রাথমিক ভাবে শৌভিকের সঙ্গী যুবকই এই ঘটনার মূল চক্রী বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তবে ওই যুবকের নাগাল এখনও পাননি তদন্তকারীরা। ওই যুবকের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলেও জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাতে আনন্দপুর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়। বেহালার বাসিন্দা এক যুবকের বিরুদ্ধে সম্পর্ক ‘জোড়া’ লাগানোর নামে ডেকে এনে গাড়ির ভিতরেই বেহুঁশ করে ধর্ষণের অভিযোগ করেন এক তরুণী। ওই যুবক পাল্টা অভিযোগ করেন, তাঁকে এবং তাঁর গাড়ির চালককে অপহরণ করা হয়েছিল। এর পরে তরুণীর খোঁজ না মেলায় রহস্য বেড়ে যায়। তদন্তে নেমে শনিবার শৌভিক ওরফে সানিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে গোটা ঘটনার পিছনে ষড়যন্ত্রের আভাস পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এমনকি, ধর্ষণের অভিযোগ নিয়েও ধন্দ্বে তদন্তকারীরা। এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে ঘটনায় কয়েক জনের যুক্ত থাকার প্রমাণ মিলেছে। তাঁদের খোঁজ
চলছে। তাঁদের গ্রেফতার করে হেফাজতে নিতে পারলেই বহু প্রশ্নের উত্তর মিলবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

arrest Kidnap Crime
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy