—প্রতীকী চিত্র।
শহর থেকে এক যুবককে অপহরণের অভিযোগে বৃহস্পতিবার তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল আলিপুর থানা। তাদের নাম পরিমল দাস, তন্ময় রায় ও সদানন্দ কেশ। সকলেই বর্ধমানের বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের জেরা করে নতুন ধরনের প্রতারণা-চক্রের সন্ধান মিলেছে। যাতে অভিযোগকারীও যুক্ত বলে পুলিশের অনুমান।
লালবাজার সূত্রের খবর, ৮ নভেম্বর মোমিনপুর থেকে ‘অপহরণ’ করা হয় স্থানীয় অভিজিৎ বড়ুয়াকে। কয়েক জন অভিজিৎকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় বলে জানান এলাকাবাসীরা। তবে পরের দিনই অভিজিৎকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ জানতে পারে, অপহরণকারীরা অভিজিতের পরিচিত। সকলে মিলে ব্যবসা করেন। অভিজিতের কাছে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা পাওনা ছিল অপহরণকারীদের। সেই টাকা আদায়েই অপহরণ। বর্ধমানের বাজেপ্রতাপপুরে আটকে রাখা হয় অভিজিৎকে। পুলিশের কাছে অবশ্য তাঁর দাবি, বকেয়া টাকা দেওয়ার আশ্বাস পেয়েই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার তিন জনকে বকেয়া টাকা দেওয়া হবে বলে ডেকে পাঠান অভিজিৎ। তারা কলকাতায় এলে পুলিশ গ্রেফতার করে। ধৃতদের জেরা করলে জানা যায় প্রতারণার নয়া কায়দা। প্রতারণায় যুক্ত থাকার অভিযোগে বর্ধমানে অপহৃতের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে বলে জেনেছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ জানায়, ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে একটি প্রতারণা-চক্রের সঙ্গে অভিযুক্তেরা জড়িত। যাঁর ঋণ প্রয়োজন, তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-সহ সব গুরুত্বপূর্ণ নথি তারা আদায় করত। পরে সেই কাগজ জমা দিয়ে চক্রের সদস্যেরা ঋণের জন্য প্রয়োজনীয় টাকার চেয়ে বেশি টাকার জিনিস কিনত মাসিক কিস্তিতে। জিনিসটি ফের অন্য কাউকে বিক্রি করে নগদ টাকা আদায় করে নিত। এর পরে যিনি ঋণের জন্য আবেদনকারীকে প্রয়োজনীয় টাকা দিয়ে দিত। আর তাঁর মোবাইলে মাসিক কিস্তির মেসেজ গেলে তা ঋণের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করত চক্রের সদস্যেরা। পুলিশ জানায়, জিনিস বিক্রির টাকা ও ঋণের টাকার মধ্যে যে ব্যবধান থাকত, সেই টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেওয়ার কথা ছিল অভিযুক্তদের। কিন্তু অভিজিৎ নিজেই তা আত্মসাৎ করে নেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy