প্রতীকী ছবি।
তিলজলা গুলি-কাণ্ডে তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার রাতে কাঁচরাপাড়া থেকে অন্যতম অভিযুক্ত রিবোধ রায়কে গ্রেফতার করা হয়। পরে গ্রেফতার করা হয় রিবোধের মা ফুলনদেবী এবং দিদি ববি রাইকেও। তবে এই ঘটনায় এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত, রিবোধের ভাই জিবোধ রায়-সহ বাকিরা। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ধৃতদের রবিবার আলিপুর আদালতে তোলা হলে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
শনিবার সকালে তিলজলায় বোমা ও গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। বোমা, গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় চপার দিয়ে হামলা চালানো হয় বলেও অভিযোগ। চপারের আঘাতে আহত হন ট্যাক্সিচালক রাজু রায়। ছেলেকে বাঁচাতে এসে আক্রান্ত হন রাজুর বাবা দেবকুমার। দু’জনকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তদন্তে নেমে জিবোধ-সহ বাকি ভাইদের নাম সামনে আসে। তাদের ধরতে এলাকায় পুলিশ তল্লাশি চালালেও ফিল্মি কায়দায় চোখে ধুলো দিয়ে পালায় অভিযুক্তেরা। যদিও ঘটনার পরেই ফুলনদেবী ও ববিকে আটক করে পুলিশ।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, প্রতিবেশী দুই পরিবারের মধ্যেই বিবাদ দীর্ঘদিনের। আগেও রাজু ও তার পরিবারকে জিবোধ একাধিক বার হুমকি দিয়েছিল বলে অভিযোগ। যদিও জিবোধের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এই প্রথম নয়। জিবোধ ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে এলাকায় একাধিক অসামাজিক কাজকর্ম চালানোর অভিযোগ রয়েছে। বছরখানেক আগে জিবোধ এলাকার এক বাসিন্দাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলেও অভিযোগ উঠেছিল। তদন্তে পুলিশ জানে, শুক্রবার বিকেলে রাজুর কাছে মদ খাওয়ার জন্য টাকা চেয়েছিল জিবোধ। রাজু টাকা দিতে অস্বীকার করলে পরের দিন সকালে তাঁর উপরে হামলা চালানো হয়। রাজুর বাবা বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাঁকেও চপারের কোপ মারা হয়।
ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালায় তিলজলা থানার পুলিশ ও লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখা। যৌথ অভিযানে কাঁচরাপাড়া থেকে ধরা হয় রিবোধকে। রবিবার সকালে গ্রেফতার করা হয় আটক ফুলনদেবী ও ববিকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy