দুই পড়ুয়াকেই ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। -ফাইল চিত্র।
পোলবা দুর্ঘটনা-কাণ্ডে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হওয়া দুই ছাত্রের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে, এখনও তারা সঙ্কটমুক্ত নয়। সোমবার হাসপাতালের সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। এখনও ওই দুই খুদে পড়ুয়াকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। সাত সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম-এর পর্যবেক্ষণে চলেছে চিকিৎসা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ঋষভ সিংহ এবং দিব্যাংশু ভগত চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছে। দিব্যাংশুর শরীরে সংক্রমণ ততটা মারাত্মক আকার নেয়নি। ফুসফুস এবং হৃদযন্ত্র কাজ করছে। ইকমো (একস্ট্রা কর্পোরিয়াল মেমব্রেন অক্সিজেনেশন) পদ্ধতিতে ঋষভের শরীরে এবং রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চলেছে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ঋষভের ফুসফুসে অতিরিক্ত পরিমাণে কাদা, জল ঢুকে যাওয়ায় তা স্বাভাবিক ভাবে কাজ করছিল না। ফলে হৃৎপিণ্ডের কাজও ব্যাহত হচ্ছিল। তাই ইকমো পদ্ধতিতে কৃত্রিম ভাবে শ্বাস নিচ্ছে ঋষভ। এ ছাড়া রবিবার রাত থেকে সোমবার পর্যন্ত ঋষভকে ছয় ইউনিট রক্ত দেওয়া হয়েছে বলে তার পরিবার সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: ধনখড়ের সঙ্গে এক ঘণ্টা বৈঠকে মমতা, সঙ্ঘাতের আঁচ কমার ইঙ্গিত টুইটে
ঋষভের তুলনায় দিব্যাংশুর শারীরিক অবস্থা কিছুটা ভাল। তার ফুসফুসও কিছুটা কাজ করতে শুরু করেছে। সিটি স্ক্যানের পর জানা গিয়েছে, দিব্যাংশুর মস্তিষ্কের আঘাত ততটা গুরুতর নয়। দু’জনের চিকিৎসার ক্ষেত্রেই সব রকমের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: সেনায় স্থায়ী পদে মহিলা নিয়োগের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
এসএসকেএম হাসপাতালের কার্ডিয়ো থোরাসিক বিভাগে চিকিৎসাধীন ঋষভের ট্র্যাকিয়োস্টমির পরে চিকিৎসকেরা জানান, ভোকাল কর্ড বা স্বরতন্ত্রীর নীচে ফুটো করে এক ধরনের টিউব ঢোকানো হয় শ্বাসনালিতে। এর মাধ্যমে ফুসফুসে বাতাস পৌঁছে শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। কাউকে দীর্ঘ দিন ভেন্টিলেশনে রাখতে হলে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। কারণ, দীর্ঘ সময়ের ভেন্টিলেশনে রোগীর শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy