ছবি: সংগৃহীত
প্লাস্টিকের কাপ, নরম পানীয়ের বোতল ছড়িয়ে রয়েছে রাস্তার ধারে। কোথাও থার্মোকলের থালা, কোথাও বাক্স। পুজোর দিনগুলিতেও এই ছবির কোনও পরিবর্তন নেই। অথচ সেই ছবির বদল ঘটাতে বছরভর সচেতনতার প্রচার চালাচ্ছে প্রশাসন, কখনও কখনও প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে বাজারে বাজারে অভিযানও চালানো হচ্ছে। এমনকি পুজোর থিমেও দূষণ রোধে রকমারি কত পরিকল্পনা। কিন্তু পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে না।
সল্টলেকের বিভিন্ন ব্লক থেকে শুরু করে কেষ্টপুর, রাজারহাট, বাগুইআটির বিভিন্ন পাড়ায় পুজো কমিটি পংক্তিভোজনের আয়োজন করেছে। রকমারি সুস্বাদু সব খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে থার্মোকলের থালায়। জলও সরবরাহ করা হচ্ছে প্লাস্টিকের কাপে।
দূষণ রোধে থিম হচ্ছে, পুজো মণ্ডপ থেকে সচেতনতার প্রচার হচ্ছে, কিন্তু পংক্তিভোজন থেকে প্লাস্টিক, থার্মোকল আলাদা করা যাচ্ছে না কেন?
পুজো কমিটিগুলির একাংশের বক্তব্য, কম দামের কারণেই থার্মোকল ব্যবহার হচ্ছে। কিন্তু দামের যুক্তি মানতে নারাজ অনেকে। তাঁদের যুক্তি, বিকল্প রয়েছে। ব্যয়ভার বাড়লেও প্লাস্টিকের দূষণ রোধে অবিলম্বে বিকল্পই খোঁজা উচিত। এক দর্শনার্থীর কথায়, ‘‘পুজোর প্রতিযোগিতায় পরিবেশ-সচেতনতারও নম্বর থাকে। ফলে দূষণ নিয়ে অনেকেই থিম করছেন বা মণ্ডপে সচেতনতার বার্তা দিচ্ছেন। কিন্তু বাস্তবে
প্লাস্টিক- থার্মোকলের ক্ষতি উপলব্ধি করছেন না।’’
সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন অনেক পুজো উদ্যোক্তাই। সল্টলেকের এক পুজো উদ্যোক্তা সৌমিত্র মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘উৎপাদন বন্ধ না করলে এই সমস্যা বন্ধ হবে না। জোগান না থাকলে সবাই বিকল্পের দিকে ঝুঁকতে বাধ্য হবেন।’’
যদিও বিধাননগরের পুরকর্তাদের একাংশ ওই সব যুক্তি মানতে নারাজ। মেয়র পারিষদ দেবাশিস জানা বলেন, ‘‘পুজোর আগে বারবার উদ্যোক্তাদের কাছে প্লাস্টিক, থার্মোকলের ব্যবহার বন্ধ রাখার আবেদন করা হয়েছে। শুধু আর্থিক সমস্যার যুক্তি মানা যায় না। সমস্যা দূর করতে প্রয়োজনে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy