গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
পকেটমার ধরতে এ বার সাদা পোশাকে বাসেই সওয়ার হল পুলিশ। ফলও মিলল হাতেনাতে। ভিড় বাসে সকলের চোখের আড়ালে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তির পকেট থেকে খুব সন্তর্পণে মোবাইল তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছিল এক যুবক। মোবাইল বার করে নেওয়ার আগেই তাকে ধরে ফেলেন মানিকতলা থানার সাদা পোশাকে থাকা কনস্টেবলরা। হাওড়াগামী ওই বাস থেকে গ্রেফতার করা হয় পার্ক সার্কাসের কুখ্যাত পকেটমার পরিতোষ হালদারকে।
পরিতোষকে জেরা করে প্রথমে হদিশ মেলে স্যাঙাত রাহুল শেখের। আদতে সন্দেশখালির বাসিন্দা হলেও কলকাতায় তার ডেরা নারকেলডাঙায়। রাহুল শেখের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি চোরাই মোবাইল। আর তাকে জেরা করে হদিশ মেলে ক্যানিং-তালদির বাসিন্দা বাপি নস্করের। তিন জনই কলকাতার বেশ ‘নামী’ পকেটমার। বাপির কাছ থেকেও উদ্ধার হয়েছে একটি চোরাই মোবাইল।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত কয়েক সপ্তাহ যাবৎ মানিকতলা থানা এলাকার কয়েকটি অংশে পর পর পকেটমারি হওয়ার ঘটনা ঘটছিল। পকেটমার বা কেপমারদের উপর নজর রাখা বা পাকড়াও করার জন্য কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের বিশেষ শাখা ‘ওয়াচ সেকশন’ রয়েছে। কিন্তু দুর্গাপুজোর সময় ওই বিভাগের উপর চাপ বেশি থাকে। তাই বিভাগীয় ডিসি-র নির্দেশে থানা থেকেই স্পেশ্যাল কনস্টেবলদের নিয়ে বিশেষ দল তৈরি করা হয়।
আরও পড়ুন: গাড়িতে গুলির টুকরো, দমদমে তরুণের রহস্য মৃত্যু, পিছনে ত্রিকোণ প্রেম?
আরও পড়ুন: রাস্তা যানজট মুক্ত রাখতে নির্দেশ নগরপালের, কিন্তু টালা সেতু নিয়ে হিমশিম খেল পুলিশ
রাস্তার যে অংশগুলিতে পকেটমারির ঘটনা ঘটছে, সেখানে ওই পুলিশ কর্মীরা নিজেরাই যাত্রী সেজে বাসে উঠে পড়েন এবং এবং নজর রাখা শুরু করেন। এ ভাবে নজর রাখতে রাখতেই মঙ্গলবার রাতে হাতে নাতে পরিতোষকে পাকড়াও করে বাকিদের হদিশ পায় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, আশে পাশের অন্যান্য থানাও এ বার থেকে একই কায়দায় বিশেষ নদরদারি শুরু করবে পকেটমারদের পাকড়াও করতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy