আবর্জনায় ভরা কেষ্টপুর খাল। নিজস্ব চিত্র
ঠান্ডাতেও মশার উপদ্রব।
বিধাননগরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, কেষ্টপুর খালপাড়, জগৎপুর ইস্টার্ন ড্রেনেজ খাল এবং বাগজোলা খালপাড় সংলগ্ন এলাকায় মশার দাপট সাংঘাতিক রকমের বেড়েছে। দু’টি খালের লাগোয় সল্টলেকেরও বেশ কয়েকটি ব্লক রয়েছে। ফলে সেখানকার আবাসিকেরাও মশার কামড়ে অতিষ্ঠ। বাসিন্দাদের দাবি, প্রতি বছরই এমন ঘটে। পুরসভার অবশ্য দাবি, মশা নিয়ন্ত্রণে তারা নিয়মিত কাজ করছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিয়মিত খালগুলিতে জলের প্রবাহ নেই। ফলে মশার উপদ্রব হচ্ছে।
কেষ্টপুর খালপাড় সংলগ্ন সল্টলেকের এএ, এসএ-র মতো বিভিন্ন ব্লক, ইস্টার্ন ড্রেনেজ খালের সংলগ্ন এএল ব্লক থেকে শুরু কেবি-কেসি আবাসন। আবার নয়াপট্টি, কেষ্টপুর থেকে শুরু করে বাগুইআটি, অশ্বিনীনগর, জগৎপুরের মতো এলাকাতেও মশার দাপট নিয়ে অভিযোগ করেছেন বাসিন্দারা। অভিযোগের কথা স্বীকার করেছে বিধাননগর পুরসভাও। পুরকর্তারা জানান, বাগজোলা ও কেষ্টপুর খালে নৌকা চালিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না বলেই অভিযোগ বাসিন্দাদের।
বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় জানান, খাল পরিষ্কার ও জলের প্রবাহ বজায় রাখাতে সেচ দফতরের সঙ্গে কথা বলা হবে। সল্টলেকের খালপাড় লাগোয়া ব্লকগুলির বাসিন্দাদের অনেকেই জানান, রাতে তো বটেই, দিনের বেলাতেও জানলা-দরজা খোলা রাখলে সমস্যা হচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরে বিধাননগর পুর এলাকায় মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়ে গিয়েছে। ফলে বছরের শুরুতেই মশার এমন দাপট নিয়ে চিন্তিত সকলেই।
পুর প্রশাসনের দাবি, বহু জায়গায় খালে প্লাস্টিক থেকে শুরু করে নানা আবর্জনার পড়ে থাকায় জলের প্রবাহ বাধা পাচ্ছে। পুরকর্তারা জানান, গঙ্গা থেকে জল ছাড়লে কেষ্টপুর খালে জলের প্রবাহ বজায় থাকে। কিন্তু খালে নাব্যতা কমার ফলে বৈশাখীর পর থেকে অনেক জায়গায় প্রবাহ থাকছে না। আবার ইস্টার্ন ড্রেনেজ খাল কচুরিপানায় ভরে রয়েছে। সেখানে নৌকা নামিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণের কাজে সমস্যা হচ্ছে বলে দাবি বিধাননগর পুরসভার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy