প্রতীক্ষা: চার নম্বর প্ল্যাটফর্মে বন্ধ বেশির ভাগ কাউন্টার। নিজস্ব চিত্র
টিকিটের কাউন্টার চারটি। কিন্তু অভিযোগ, ব্যস্ত সময়েও খোলা থাকছে মাত্র একটি। ফলে টিকিট কাটতে গিয়ে দীর্ঘ ক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে হয়রান হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। রোজকার এই ছবি শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার গুরুত্বপূর্ণ বারুইপুর স্টেশনের চার নম্বর প্ল্যাটফর্মের।
দক্ষিণ শাখার শেষ জংশন স্টেশন এই বারুইপুর। এখান থেকে ভাগ হয়ে যাচ্ছে লক্ষ্ণীকান্তপুর-নামখানা ও ডায়মন্ড হারবারের মতো দু’টি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। ফলে রোজ হাজার হাজার যাত্রীর যাতায়াত লেগে রয়েছে এই স্টেশন দিয়েই। বেশ কয়েক বছর হল বারুইপুরে চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম চালু হয়েছে। যাত্রী সুবিধার কথা মাথায় রেখে রেলের তরফে এক নম্বরের পাশাপাশি চার নম্বরে একটি বিকল্প বুকিং কাউন্টারও করা হয়েছে। ওই কাউন্টার হওয়ায় বারুইপুর স্টেশনের পূর্ব দিকের বিস্তীর্ণ অংশের মানুষ উপকৃত হয়েছেন বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। ফলে চারটি লাইন টপকে এক নম্বরে এসে টিকিট কাটার ঝক্কি অনেকটাই কমেছে। কিন্তু কাউন্টারে টিকিট কাটতে এসে রোজই হয়রান হতে হচ্ছে যাত্রীদের।
তবে যাত্রীদের অভিযোগ, চার নম্বর প্ল্যাটফর্মে চারটি কাউন্টারের মধ্যে তিনটিই বন্ধ থাকে। সকালের ব্যস্ত সময়েও একটি কাউন্টার থেকেই টিকিট দেওয়া হয়। ফলে দীর্ঘ লাইন পড়ে যাচ্ছে যাত্রীদের। পরিস্থিতি এমন হয় যে, লাইন কখনও কখনও কাউন্টার ছাড়িয়ে প্ল্যাটফর্মের বাইরেও চলে যায়।
যাত্রীরা জানাচ্ছেন, বারুইপুর থেকে লক্ষ্মীকান্তপুর, ডায়মন্ড হারবার শাখায় ট্রেন প্রায় এক ঘণ্টা অন্তর চলাচল করে। ফলে একটা ট্রেন চলে গেলে পরবর্তী ট্রেন পেতে অপেক্ষা করতে হয় অনেকটাই সময়। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটার চক্করে অনেকেই নির্দিষ্ট ট্রেন পান না বলে অভিযোগ।
শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ কাউন্টারের লাইনে দাঁড়িয়ে নিত্যযাত্রী গোপাল মণ্ডল বলেন, ‘‘লক্ষ্মীকান্তপুর যাব। দশ মিনিট পরেই ট্রেন। কিন্তু যা লাইন, এখনও পঞ্চাশ জনের পরে। কখন টিকিট কাটতে পারব জানিনা। কোন ট্রেন পাব তা-ও জানি না। এর পরের ট্রেন ঘণ্টা খানেক পরে। এটা এখন প্রতিদিনের ঝামেলা। বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও অন্য কাউন্টারগুলি খোলা হয় না কেন, জানি না।’’
অথচ স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মের চারটি কাউন্টার নিয়মিত খোলা হয় বলে জানাচ্ছেন যাত্রীরা। এ ছাড়া এক নম্বর কাউন্টারে ছ’টি স্বয়ংক্রিয় বুকিং মেশিনও রয়েছে। যেখান থেকে নিজেরাই টিকিট কেটে নিতে পারা যায়। স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র থেকে টিকিট পেতে রেল যাত্রীদের সাহায্য করতে কর্মীও রেখেছেন। কিন্তু চার নম্বরে কোনও স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র রাখা হয়নি। যাত্রীদের মতে, স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র থাকলেও কিছু যাত্রী উপকৃত হতেন। লাইন দেওয়ার ঝক্কি কিছুটা কমত।
কর্মী কম থাকার জন্যই যে নিয়মিত সব কাউন্টার খোলা যাচ্ছে না, তা কার্যত স্বীকার করে নেন স্টেশনের বুকিং দফতরের এক আধিকারিক। ওই রেলকর্তার কথায়, ‘‘আমাদের হাতে যে পরিমাণ কর্মী আছেন, তাঁদের নিয়েই কাউন্টার চালাতে হয়। সেই মতো কখন কোন কাউন্টার খোলা হবে, তার একটি সূচি রয়েছে। সেই অনুযায়ীই চলছে।’’ যাত্রী স্বার্থের প্রশ্নে তাঁর উত্তর, ‘‘যাত্রীদের হাতে এখন টিকিট কাটার অনেক বিকল্প রয়েছে। তাঁরা সে ভাবে কাটতে পারেন। ’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy