—প্রতীকী চিত্র।
পুজো মণ্ডপে ঘুরে ঘুরে প্রতিমা দর্শন করতে ইতিমধ্যেই মানুষের ঢল নেমেছে। কমে গিয়েছে গাড়ির গতি, তৈরি হচ্ছে তীব্র যানজট। শুধু ভিআইপি রোডে নয়, যশোর রোডের একাংশেও কার্যত একই অবস্থা। যার জেরে প্রতিদিনই দুর্ভোগে পড়ছেন স্কুল ও কলেজের পড়ুয়া থেকে অফিসযাত্রীরা। সোমবার রাতের পরে মঙ্গলবারেও সেই একই ছবি দেখা গিয়েছে। পাতিপুকুর থেকে শুরু করে বাঙুর পর্যন্ত অংশে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ছে গাড়ি। বাঙুর থেকে নাগেরবাজার পর্যন্ত অংশে গাড়ির গতি থাকছে খুবই কম। আটকে যাচ্ছে অ্যাম্বুল্যান্সও। বিরক্ত অফিসযাত্রীদের বক্তব্য, পুজোর আগেই যদি মণ্ডপ দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়, তা হলে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণও সেই অনুযায়ী করা দরকার।
দমদম রোডে কালভার্ট সংস্কারের কাজ চলছে। ফলে, যশোর রোডে গাড়ির চাপ এমনিতেই বেশি। তার উপরে ভিআইপি রোডে যানজটের কারণে বহু গাড়ি ঘুরে যশোর রোডে ঢুকছে। যার জেরে পাতিপুকুর থেকে বাঙুর পর্যন্ত অংশে প্রবল যানজট হচ্ছে। আবার বাঙুর থেকে নাগেরবাজার পর্যন্ত অংশে শপিং মল ও একাধিক দোকানপাট থাকায় সেখানে ভিড় হচ্ছে রোজই। ওই অংশে গাড়ির গতিও কমে যাচ্ছে। এ দিকে আবার টালা পার্কেও দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন। ফলে সেখানেও গাড়ির গতি কমে যাচ্ছে।
কালিন্দী থেকে শুরু করে মিল্ক কলোনি বা দত্তবাগানের বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুজোর আগে এমন অবস্থা নতুন নয়। কালিন্দীর বাসিন্দা সৌমেন রায় বললেন, ‘‘সোমবার রাতে অফিস থেকে ফেরার পথে বেলগাছিয়া মেট্রো স্টেশনে নেমে বাস ধরে কিছু দূর যাওয়ার পরে সেটি আটকে গেল। দত্তবাগান থেকে হেঁটে বাড়ি ফিরি।’’ দত্তবাগানের বাসিন্দা ইন্দ্রনীল ঘোষ জানালেন, অফিস থেকে ফেরার পথে উল্টোডাঙা স্টেশন থেকে দত্তবাগান যেতেই দেড় ঘণ্টা লেগেছে।
যদিও বিধাননগর কিংবা নাগেরবাজারের ট্র্যাফিক পুলিশের দাবি, যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু পুজো শুরু হওয়ার আগেই যে এতটা ভিড় ও যানজট হবে, তা তাদেরও ধারণার বাইরে ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy