এসএসকেএম হাসপাতালের পরিস্থিতি নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ফাইল ছবি।
যত জন চিকিৎসক থাকার কথা, তার অর্ধেকও নেই। অথচ, প্রতি বছরই বাড়ছে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীর সংখ্যা। তাতেই কমবেশি ভোগান্তি লেগে রয়েছে রোগীদের। চিকিৎসা ক্ষেত্রে পূর্বাঞ্চলের উৎকর্ষ কেন্দ্র এসএসকেএম হাসপাতালের এমন পরিস্থিতি কেন, তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।
শেষ পাঁচ বছরে ভর্তি হওয়া রোগী, প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব করাতে আসা প্রসূতি, বহির্বিভাগের রোগী এবং জরুরি ভিত্তিতে পরিষেবা পাওয়া রোগীদের সংখ্যার খতিয়ান নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে পিজি। জানা যাচ্ছে, ট্রমা কেয়ারের পাশাপাশি ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট, কার্ডিয়োলজি, রেসপিরেটরি ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট, উডবার্ন, ইমার্জেন্সি অবজ়ারভেশন ওয়ার্ড, জেনারেল ইমার্জেন্সি বিভাগ মিলিয়ে ২০২২ সালে জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা পেয়েছেন ২ লক্ষ ৮৯ হাজার ৮২ জন। যা ২০১৮ সালে ছিল ২ লক্ষ ৩৪ হাজার। সূত্রের খবর, জরুরি ভিত্তিতে প্রাথমিক পরিষেবা মূলত দিয়ে থাকেন জেনারেল ডিউটি মেডিক্যাল অফিসারেরা। কিন্তু, সেই চিকিৎসকদের সংখ্যাতেই বিশাল ঘাটতি রয়েছে। ট্রমা কেয়ারে ৯৫ জনের থাকার কথা। আছেন ২৩ জন। আবার অন্যান্য বিভাগ মিলিয়ে মোট ১৬৩ জনের থাকার কথা। রয়েছেন মাত্র ৭৬ জন। অর্থাৎ, গোটা হাসপাতালে ২৫৮ জন মেডিক্যাল অফিসারের জায়গায় আছেন মাত্র ৯৯ জন।
অভিযোগ, যে হেতু প্রাথমিক চিকিৎসা দেন ওই মেডিক্যাল অফিসারেরা, তাই অনেক সময়েই রোগীর চাপ বেড়ে গেলে সমস্যা হয়। তখনই চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ তোলেন রোগীদের পরিজনেরা। যদিও চিকিৎসকের ঘাটতি মেটানোর জন্য পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। অন্য দিকে, ২০১৮ থেকে ২০২১ পর্যন্ত পিজিতে রোগী ভর্তির সংখ্যা হাজারের ঘরে থাকলেও, ২০২২-এ তা হয়েছে ১ লক্ষ ১৫ হাজার ৫১৫। আবার, ২০১৮-র তুলনায় বহির্বিভাগে প্রায় ৭ লক্ষ রোগী বেশি এসেছেন। শেষ বছরে ওই বিভাগে ২০ লক্ষ ১৭ হাজার রোগী এসেছেন। প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের সংখ্যা ৭৭৬৬।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy