প্রতীকী ছবি।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রোগীর পরিবারের একাধিক সদস্য ঢুকতে যাওয়ায় বাধা দিয়েছিলেন কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীরা। এই নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি, তার পরে হাতাহাতি হয়। খবর পেয়ে এম আর বাঙুর হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির কর্তব্যরত কর্মীরা বিষয়টি মেটাতে গেলে তাঁদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মারধর করা হয় হাসপাতালের রক্ষীদেরও। যাদবপুর থানার পুলিশ এই ঘটনায় রোগীদের দুই আত্মীয়কে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম সঞ্জীব ভৌমিক এবং বুলা ভৌমিক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, নিউ আলিপুরের মঙ্গল টেম্পল লেনের তিন বাসিন্দা গত কয়েক দিন ধরে ওই হাসপাতালে জ্বর নিয়ে ভর্তি ছিলেন। অভিযোগ, তাঁদের পরিজনেরা রবিবার দুপুরে তিন জনকে গাড়িতে করে বাড়ি নিয়ে যেতে জরুরি বিভাগের সামনে পৌঁছন। জরুরি বিভাগের সামনে গাড়ি রাখা নিয়ে রক্ষীরা নিষেধ করেন। অভিযোগ, তা তোয়াক্কা না করেই রোগীর পরিবারের জনা চারেক সদস্য সোজা ভিতরে ঢুকতে যান। তখনই নিরাপত্তারক্ষী তাঁদের বাধা দিলে কথা কাটাকাটি হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। রোগীর এক আত্মীয় সোমনাথ ঘোষের অভিযোগ, ‘‘আমাদের সঙ্গে আসা এক বয়স্ক মানুষকে নিরাপত্তারক্ষী মারধর করেন। পুলিশকে তা বলতে গেলে উল্টে তারাই আমাদের মারধর করেছে।’’ যদিও পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, দু’পক্ষের ঝামেলা শুরুর আধ ঘণ্টা পরে নিউ আলিপুর থেকে জনা তিরিশ যুবক হাসপাতালে ঢুকে গন্ডগোল শুরু করে। অভিযোগ, বাধা পেয়ে ধস্তাধস্তির সময়ে এক পুলিশকর্মীর জামার পকেট টেনে ছিঁড়ে ফেলেন রোগীর এক আত্মীয়। এমনকি কয়েক জন পুলিশকে মারধরও করা হয়। খবর পেয়ে ডিসি (এসএসডি) ডিভিশন থেকে পুলিশ বাহিনী হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে কর্তব্যরত পুলিশ ও রক্ষীদের মারধরের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশ। লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘তদন্তে হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা হচ্ছে।’’ এ নিয়ে এম আর বাঙুর হাসপাতালের সুপার অসীম হালদারকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘ছুটিতে আছি। কিছুই জানি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy