সারি সারি: ভোটের কাজ সেরে ফিরলেও কর্মীর অভাবে পথে নামল না বহু বাস। রবিবার, ঢাকুরিয়া। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।
পঞ্চায়েত ভোটের জন্য গত দিন তিনেক রাস্তায় বাস কম ছিল। ফলে গণপরিবহণের অপেক্ষায় ভোগান্তি বাড়ছিল যাত্রীদের। শনিবার মিটেছে ভোট। তবে, বাস শহরে ফিরলেও ভোগান্তি কিন্তু কমল না। কারণ, ভোট দেওয়ার জন্য জেলায় ছুটি নিয়ে যাওয়া কর্মীদের অনেকে এখনও না ফেরায় শহরে আরও কমল বাস। ছুটির দিনে যে অল্প সংখ্য়ক লোকজন রাস্তায় বেরোলেন, তাঁদের কেউ বাসের অপেক্ষায় দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে রইলেন, কেউ আবার বিকল্প পথ ধরলেন।
সূত্রের খবর, শহরে দৈনিক চার থেকে সাড়ে চার হাজার বাস রাস্তায় নামে। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের কাজে কমিশন বহু বাস তুলে নেওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে শহরে বাস কমতে শুরু করেছিল। প্রায় দু’হাজার বাস তুলে নেওয়ায় দিন তিনেক ধরে অর্ধেক বাস রাস্তায় নামছিল। এ দিকে ভোট শেষ হতেই অধিকাংশ বাস শহরে ফিরলেও পথের ভোগান্তি কমল না। বরং অন্য দিনের থেকেও রবিবার কম ছিল শহরের গণপরিবহণ। কর্মীর অভাবে একাধিক স্ট্যান্ডে সকাল থেকে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল বাস। দুপুরে ঢাকুরিয়ায় গিয়ে দেখা গেল, স্ট্যান্ডে পর পর দাঁড়িয়ে ৩৭এ ঢাকুরিয়া-হাওড়া রুটের বাস। একই ছবি বাগুইআটি-হাওড়া রুট এবং বেহালার বাস রুটেও। যে দু’-এক জন কর্মী রয়েছেন, তাঁরাও রবিবারের দিনটা বাসেই ঘুমিয়ে কাটিয়েছেন।
বাসমালিকেরা জানাচ্ছেন, কর্মীদের বড় অংশ জেলার বাসিন্দা। অধিকাংশই মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর, নদিয়ার গ্রাম থেকে কলকাতায় এসে বাস চালান বা টিকিট কাটার কাজ নেন। ওই সব এলাকায় ভোট থাকায় অনেকেই শুক্রবার রাতে বাড়ি গিয়েছিলেন। ভোটের পরের দিন রবিবার থাকায় বেশির ভাগই ফেরেননি। যে কারণে ভোট শেষ হওয়া সত্ত্বেও বাসের সঙ্কট দেখা গিয়েছে। এক-তৃতীয়াংশ বাস নিয়ে পরিষেবা চালু রাখায় ছুটির দিনে অনেকেই ভোগান্তিতে পড়েছেন।
আজ, সোমবার থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশ্বাস দিচ্ছেন মালিকদের একাংশ। ‘সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিসেস’-এর সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, ‘‘আমরা চাই না পরিষেবা ব্যাহত হোক। কিন্তু ভোট দেওয়াও সকলের অধিকার। সেটা আটকানো সম্ভব নয়। আশা করছি, দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy