উত্তরপাড়া এবং বালির দিক থেকে অনেকটা ঘুরপথে রাজচন্দ্রপুর পর্যন্ত গিয়ে বাস বা অন্য গণপরিবহণ ধরতে হয় যাত্রীদের। ছবি: সংগৃহীত।
শিয়ালদহ ডিভিশনে সেতুর গার্ডার বদলের কাজের জন্য ৩৯ জোড়া লোকাল ট্রেন বাতিল ছাড়াও বালি ব্রিজ এবং নিবেদিতা সেতুতে একমুখী যান চলাচলের কারণে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভোগান্তিতে পড়লেন যাত্রীদের বড় অংশ। এ দিন উত্তরপাড়া এবং বালির দিক থেকে অনেকটা ঘুরপথে রাজচন্দ্রপুর পর্যন্ত গিয়ে বাস বা অন্য গণপরিবহণ ধরতে হয় তাঁদের। উল্লেখ্য, সেতুর কাজের জন্য নিবেদিতা সেতুর টোল প্লাজ়ার এক এবং দু’নম্বর লেন দিয়ে বালি হল্টের দিকে বাস-সহ অন্য যানবাহন চলছে। তবে টোল প্লাজ়া লাগোয়া অংশে যাত্রীদের বাস থেকে ওঠানামা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
নিরুপায় যাত্রীরা রাজচন্দ্রপুরের কাছে পুলিশের দেওয়া রেলিং টপকে যাতায়াত করতে গেলে তাঁদের সঙ্গে পুলিশের বচসা বাধে। যাত্রীরা প্রশ্ন তোলেন, বিকল্প পথের ব্যবস্থা না করে কাজের অনুমতি দেওয়া হল কেন? বাসমালিকদের একাংশের অভিযোগ, গত ১৭ তারিখ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে তাঁরা বিকল্প রাস্তার কথা জানালেও সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হয়নি।
এ দিন যাত্রীদের ভিড়ে এক সময়ে পুলিশ বালি হল্ট স্টেশনের পাশের কংক্রিটের পাঁচিল ভেঙে বিকল্প রাস্তা বার করে। প্রশাসন সূত্রের খবর, বালি ব্রিজেও বেশ কিছু মেরামতির কাজ চলছে। সেই জন্য বালি ব্রিজের উপরে একটি লেন বন্ধ রেখে বিভিন্ন যান নিবেদিতা সেতু দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসু বলেন, ‘‘রাস্তার পাশের বেড়া সরিয়ে দেওয়ার পরে যাত্রীরা ওই অংশে থাকা একটি ঘেরা পথ ব্যবহার করে বালি স্টেশন থেকে যাতায়াত করেছেন।’’
ভোগান্তি এড়াতে এ দিন অনেকে শিয়ালদহ থেকে বেলঘরিয়া স্টেশনে নেমে আড়িয়াদহ বা জেটিয়া ঘাট হয়ে গঙ্গা পেরিয়ে, কেউ ই-বাইকে উত্তরপাড়া এবং বালির দিকে আসেন। জলপথ পরিবহণ নিগম সূত্রের খবর, পরিস্থিতি সামলাতে রাত পর্যন্ত ফেরি চালানো হবে। ডানকুনির বাসিন্দা মুস্তাফিজ মল্লিক জানান, দক্ষিণেশ্বরের দিক থেকে ডানকুনি ফেরার বাস না পেয়ে তাঁকে ১০০ টাকায় বাইক ভাড়া করে ফিরতে হয়েছে।
রেল সূত্রের খবর, শিয়ালদহ থেকে ডানকুনির মধ্যে সিসিআর-১৫ সেতু ছাড়াও সিসিআর ১০, ১১, ১৯-সহ মোট সাতটি জায়গায় বিভিন্ন সেতুর মেরামতির কাজ চলছে। একাধিক ক্রেন এবং টাওয়ার ভ্যান নিয়ে ওই শাখায় কাজ শুরু হয়েছে। প্রায় এক হাজার কর্মী পালা করে কাজ করবেন বলে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy