পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
আর্থিক তছরুপের ঘটনায় ইতিমধ্যেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দুই কর্মীকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর (পূর্ব) থানার পুলিশ। সেই ঘটনা প্রসঙ্গে শনিবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, শিক্ষা দফতর আলাদা করে ঘটনাটির তদন্ত করবে। ধৃতদের সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে পর্ষদ সূত্রের খবর।
পুলিশ জানিয়েছে, ৫ ডিসেম্বর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এক অভিযোগে জানায়, প্রাথমিক তদন্তে তারা আর্থিক লেনদেনে বেশ কিছু অসঙ্গতি দেখতে পেয়েছে। ২৬ লক্ষেরও বেশি নগদ টাকার হিসেব মিলছে না। ওই ঘটনায় কোষাধ্যক্ষ আব্দুর মুনির এবং চুক্তিভিত্তিক কর্মী সিন্ধু কাঞ্জিলালের কাজকর্মে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে অসঙ্গতি পাওয়ায় গ্রেফতার করে বিধাননগর পুলিশ। দু’জনকেই ৬ ডিসেম্বর বিধাননগর আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ দিন ওই ঘটনা প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের সাসপেন্ড করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি জানান, এই ঘটনায় শিক্ষা দফতর আলাদা করে তদন্ত করবে। পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন, ওই দু’জনকে সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৬ সাল থেকে এই গরমিল চলছে বলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রের খবর। গ্রেফতার হওয়া চুক্তিভিত্তিক ওই কর্মী ২০১১ সাল থেকে ক্যাশ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি তাঁকে অন্য বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁর জায়গায় যিনি দায়িত্ব নেন, তিনি গরমিল হচ্ছে বলে পর্ষদকে জানান। তার পরে প্রাথমিক ভাবে তদন্ত করে পর্ষদ। সেখানে গরমিল ধরা পড়ে। প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে গত তিন বছরে কেন গরমিল ধরা পড়ল না? পুলিশ সূত্রের খবর, আগে কেন গরমিল ধরা পড়েনি, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy