বহুতল: পাঁচ নম্বর সেক্টরে সূচনা হল পার্কিংয়ের এই জায়গার। নিজস্ব চিত্র।
অবশেষে সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টরে গাড়ি রাখার যন্ত্রণা মেটাতে বহুতল (মাল্টি লেভেল) পার্কিংয়ের ব্যবস্থা হল। শনিবার কলকাতা পুরসভা থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ওই প্রকল্পের সূচনা করেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন পাঁচ নম্বর সেক্টরের প্রশাসনিক সংস্থা নবদিগন্ত শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন।
৪৩২ একর জুড়ে তৈরি হওয়া পাঁচ নম্বর সেক্টরে গাড়ি রাখার সমস্যা দীর্ঘদিনের। কারণ, ওই তথ্যপ্রযুক্তি তালুকে রাস্তার সংখ্যা কম। অথচ, সেখানে গাড়ির চাপ দিনদিনই বাড়ছে। পাঁচ নম্বর সেক্টরের বহুতলগুলিতে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু সেগুলি মূলত ওই সমস্ত অফিসে কর্মরত ব্যক্তিদের জন্যই নির্দিষ্ট। মল, রেস্তরাঁ, হোটেল থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকম বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে ওই শিল্পতালুকে। তা ছাড়া, প্রতিদিন নানা কারণে অসংখ্য গাড়ি যাতায়াত করে সেখানে।
তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের একাংশের মতে, রাস্তায় যত্রতত্র গাড়ি রাখার জেরে প্রায়ই সেখানে যানজট তৈরি হয়। রাস্তার ধারে বৈধ পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকলেও তা সুবিধাজনক নয়। সেই কারণে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে রাখতে রীতিমতো ঘাম ঝরাতে হচ্ছে ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মীদের। তবে নতুন ওই বহুতল পার্কিং ব্যবস্থা তৈরি হওয়ায় সেই সমস্যা অনেকটাই কমবে বলে তাঁদের আশা। একই সঙ্গে অবশ্য কর্মীরা জানিয়েছেন, এমন বহুতল পার্কিং আরও দরকার সেখানে।
পাঁচ নম্বর সেক্টরে গাড়ির পার্কিং নিয়ে জটিলতা শুরু থেকেই ছিল। পার্কিং লট কয়েকটি থাকলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা ছিল সামান্যই। তাই সেখানকার এ-কিউ ব্লকের এক একর জায়গায় ন’তলা ওই বহুতল পার্কিং গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে একসঙ্গে ৬৫০টি গাড়ি রাখা যাবে।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ওই বহুতলে বর্ষার জল ধরে রাখা এবং সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি তলে থাকছে শৌচাগার এবং পানীয় জলের ব্যবস্থা। নজরদারির ব্যবস্থাও করা হবে। পাশাপাশি, একটি তল পুনর্বাসন দেওয়া হকারদের জন্য রাখার পরিকল্পনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
ওই বহুতল কার পার্কিং থেকে গাড়ি যাতায়াতের জন্য আগেই রাস্তা নতুন করে তৈরি করা হয়েছিল। সেই প্রকল্পের কথা আগেই জানিয়েছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এ দিন কলকাতা পুরসভা থেকে প্রকল্পের সূচনা করেন তিনি।
‘নবদিগন্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপ অথরিটি’ সূত্রের খবর, ২০১৮ সালের শেষ দিকে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতির জেরে প্রকল্প শেষ করতে কয়েক মাস সময় অতিরিক্ত লেগেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy