এ বার থেকে অভিভাবকেরা আর মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না। ফাইল চিত্র ।
প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকেরা মাধ্যমিক পরীক্ষায় নজরদারের দায়িত্ব পেতে পারলে তাঁরা ওই কাজের ভার পাবেন না কেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন পার্শ্ব শিক্ষকেরা। প্রশ্ন তুলেই ক্ষান্ত না-হয়ে তাঁদের একাংশ মাধ্যমিক পরীক্ষায় নজরদারের দায়িত্ব পেতে চেয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দ্বারস্থ হয়েছেন। পর্ষদকে তাঁরা জানিয়েছেন, হয় তাঁদের নজরদারের দায়িত্ব দেওয়া হোক, অথবা দেওয়া হোক সবেতন ছুটি। পার্শ্ব শিক্ষকদের দাবি, উত্তর দিনাজপুরে প্রাথমিক শিক্ষকেরাও যদি মাধ্যমিক পরীক্ষায় নজরদারি করার সুযোগ পেয়ে থাকেন, তা হলে তাঁদেরও সেই সুযোগ দিতে হবে।
মাধ্যমিকের মতো বড় পরীক্ষায় নজরদারির অভিজ্ঞতা যে তাঁদের আছে, সেই দৃষ্টান্ত তুলে ধরে পার্শ্ব শিক্ষক ঐক্য মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াই। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সময়ে, ২০১৯ সালের মাধ্যমিকে আমরা নজরদারির কাজ করেছি। সেই অভিজ্ঞতাও আছে। তা হলে কেন আমাদের নজরদারের কাজ দেওয়া হবে না?’’ একই সঙ্গে ভগীরথের দাবি, নজরদারের কাজ না-মিললে তাঁদের সবেতন ছুটি দেওয়া হোক। পরীক্ষার সময়ে স্কুলে গিয়ে কাজ না-থাকলে নানা ভাবে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এক কর্তার বক্তব্য, পরীক্ষায় নজরদারি ছাড়াও অন্য অনেক কাজ থাকে। পার্শ্ব শিক্ষকেরা সেই সব কাজ করতে পারেন।
মাধ্যমিক পরীক্ষা অধিকতর সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করার জন্য এ বার পরীক্ষা কেন্দ্রে পুলিশ, আশাকর্মীরাও থাকবেন। স্কুলকে তাঁদের টিফিন এবং দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করতে বলায় অর্থের সংস্থানের প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ, সম্প্রতি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিজেদের টাকা দিয়ে বিভিন্ন স্কুলে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা করতে হয়েছে। এ বার কি মাধ্যমিক পরীক্ষায় নিযুক্ত কর্মীদের খাবার দিতেও এগিয়ে আসতে হবে তাঁদের?
‘কলেজিয়াম অব অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস’-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাসের অভিযোগ, ‘‘সেন্টার ফি হিসাবে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাথাপিছু আসে মাত্র কুড়ি টাকা। সেই টাকা থেকে নজরদারদের বড়জোর চা-বিস্কুট খাওয়ানো যায়।’’
এ বার থেকে অভিভাবকেরা আর মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না। এক পর্ষদকর্তা বলেন, ‘‘প্রথম দিন অপরিচিত জায়গায় পরীক্ষা দিতে গিয়ে পড়ুয়ারা যাতে স্বচ্ছন্দ বোধ করে, সেই জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষকদের অনেক বেশি করে মানবিক হতে বলা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy