প্রতীকী ছবি।
মেসেজ ঢোকার শব্দ শুনে মোবাইলটি হাতে নিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। তিনি দেখেন, ব্যাঙ্কের একটি বার্তা ঢুকেছে তাঁর ফোনে। যা পড়ে তখন তাঁর চক্ষু চড়কগাছের অবস্থা। দেখলেন, তাঁর অ্যাকাউন্টের টাকা দিল্লির একটি ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে কিছু ক্ষণ আগে তুলে নেওয়া হয়েছে। তৎক্ষণাৎ পকেটে হাত দিয়ে তিনি দেখেন, তাঁর এটিএম কার্ড রয়েছে যথাস্থানেই। ফের পরপর একই রকম তিনটি মেসেজ পেলেন ওই ব্যাক্তি। যা পড়ে তিনি বুঝতে পারেন প্রতারকদের পাল্লায় পড়েছেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, পোস্তা থানা এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যক্তির নাম অঙ্কিত জৈন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে লালবাজারের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখার গোয়েন্দারা এটিএম প্রতারণা চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। ধৃত ব্যক্তির নাম রাজকুমার মিস্ত্রি। তার বাড়ি বিহারের গয়াতে। সরকারি কৌঁসুলি দীপনারায়ণ পাকড়াশি জানান, ধৃত এটিএম প্রতারণা চক্রের চাঁই। ওই চক্রের বাকিদের গ্রেফতার করতে পুলিশের তরফে ধৃতের হেফাজত চেয়ে বিচারক মনোদীপ দাশগুপ্তের কাছে আবেদন করা হয়। তা মঞ্জুর করে ধৃতকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বলে তিনি জানান।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগকারীর এটিএম কার্ড ‘ক্লোন’ করে ওই টাকা তোলা হয়েছে। মূলত বিহারের ওই দল দিল্লি থেকে টাকা তুলত। সেখানকার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে টাকা তোলার সময়ে ধৃতকে দেখা গিয়েছে বলে পুলিশের দাবি। গত মাসে হেয়ার স্ট্রিট থানার অন্য একটি এটিএম প্রতারণার মামলাতেও অভিযুক্ত এই রাজকুমার। জেরার মুখে দু’টি ঘটনার সঙ্গে ওই প্রতারণা চক্রের যোগ থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে দাবি গোয়েন্দাদের।
লালবাজার সূত্রের খবর, গত বছর একের পর এক এটিএম কার্ড প্রতারণার ঘটনা সামনে এসেছিল। পরে জানা যায়, ওই ঘটনায় কয়েক জন রোমানিয়ার বাসিন্দা জড়িত। গোয়েন্দারা সেই চক্রের বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করে দিল্লি থেকে। বর্তমানে তারা জেল হেফাজতে। সূত্রের দাবি, রোমানিয়ার চক্রের সঙ্গে ধৃত রাজকুমারের কোন যোগ আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy