Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Jadavpur University Student Death

স্বপ্নদীপ মৃত্যুতদন্তে নতুন মোড়, যাদবপুরের প্রাক্তনী তথা হস্টেলের আবাসিক সৌরভ চৌধুরী গ্রেফতার

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত সৌরভ চৌধুরীর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায়। স্বপ্নদীপের বাবার দাবি, সৌরভই তাঁকে ‘অভয়’ দেন, হস্টেলে ‘গেস্ট’ করে রাখার ব্যবস্থা করে দেবেন তাঁর ছেলেকে।

One arrested in Jadavpur University’s student Swapnadwip Kundu death incident

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০২৩ ০০:১১
Share: Save:

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুন্ডুর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে সৌরভ চৌধুরী নামে এক যুবককে। তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রাক্তনী। স্বপ্নদীপের বাবা রামপ্রসাদ কুন্ডুর অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। সম্মিলিত অপরাধের ধারাতেও মামলা হয়েছে। সৌরভকে শনিবার আলিপুর আদালতে হাজির করানো হবে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের এ-২ ব্লকে থাকা বেশ কয়েক জন আবাসিককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

বগুলার ছেলে স্বপ্নদীপ এ বছরই কলকাতায় আসেন। বাংলা সাম্মানিকে ভর্তি হন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের এ-২ ব্লকের নীচ থেকে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপকে উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। র‌্যাগিংয়ের কারণে মৃত্যু বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রের পরিবার। ছেলের মৃত্যুতে হস্টেলের আবাসিকদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন স্বপ্নদীপের বাবা। তাঁর করা খুনের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করেছে কলকাতা পুলিশ।

হস্টেলের আবাসিক ছিলেন না স্বপ্নদীপ। কিন্তু ‘গেস্ট’ হিসাবে থাকা যায় হস্টেলে, এ কথা স্বপ্নদীপ এবং তাঁর বাবা জানতে পারেন সৌরভের মাধ্যমে। স্বপ্নদীপের বাবা পুলিশকে জানান, গত ৩ অগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে একটি চায়ের দোকানে তাঁর সঙ্গে সৌরভের আলাপ। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র সৌরভ জানান, ২০২২ সালে তিনি এমএসসি পাশ করেছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, সৌরভের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায়। নিম্নবিত্ত পরিবার স্বপ্নদীপের। তাই সৌরভের কথায় ভরসা পেয়েছিলেন রামপ্রসাদ। সৌরভের হাত ধরে বলেছিলেন, ছোট ভাইয়ের মতো স্বপ্নদীপকে দেখতে। তিনি এ-ও জানান, সৌরভই যাদবপুরের মেন হস্টেলে মনোতোষ নামে এক ছাত্রের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেন স্বপ্নদীপের। মনোতোষ থাকেন ১০৪ নম্বর রুমে। স্বপ্নদীপের থাকার ব্যবস্থা হয় ৬৮ নম্বর রুমে। ওই ঘরে স্বপ্নদীপের রুমমেট ছিলেন কল্লোল ঘোষ নামে দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্র। এ হেন সৌরভকেই ‘ঠান্ডা মাথার খুনি’ বলে শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের সামনে মন্তব্য করেন মৃত ছাত্রের বাবা। তাঁর অভিযোগ, হস্টেলের সিনিয়রা ড্রাগের নেশা করে ছোটদের উপর শারীরিক এবং মানসিক ভাবে অত্যাচার করেন। এমনকি, তিনি সৌরভের মাধ্যমেই খবর পান যে, তাঁর ছেলে হস্টেলের ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছেন। ছেলেহারা রামপ্রসাদের অভিযোগ, কয়েক জন দল বেঁধে স্বপ্নদীপকে খুন করেছেন। তিনি এর বিচার চান। তাঁর কথায়, ‘‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সৌরভের নেতৃত্বে আমার বড় ছেলের উপর অত্যাচার করা হয়েছে। ওঁরাই আমার ছেলেকে নীচে ফেলে মেরে দিয়েছে।’’

এখানেই শেষ নয়। মৃত ছাত্রের বাবা অভিযোগ করেছেন, শেষ বার স্বপ্নদীপ মাকে ফোন করে কেঁদে ফেলেছিলেন। বলেছিলেন, ‘‘মা আমি ভাল নেই।’’ রামপ্রসাদের দাবি, ছেলে কতটা খারাপ আছে তা নদিয়ায় বসে অনুভব করতে পারেননি তাঁরা। কল্পনাও করতে পারেননি, ছেলের এমন একটা পরিণতি হবে। রমাপ্রসাদ বার বার বলছেন, ‘‘আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে।’’

শুক্রবার রাতে যখন সৌরভকে গ্রেফতার করে পুলিশ, তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলও। তিনিও ওই অভিযুক্তকে জিজ্ঞাবাদ করেন।

কী হয়েছিল বুধবার রাতে

বুধবার রাতে স্বপ্নদীপকে মেন হস্টেলের নীচে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরের দিন অর্থাৎ, বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর নেপথ্যে কি দুর্ঘটনা, না কি খুন করা হয়েছে, তা তদন্তসাপেক্ষ। তবে এ নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়ের বক্তব্যে রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে। ইতিমধ্যে হস্টেল সুপার তপনকুমার জানা, বাংলা বিভাগের প্রধান জয়দীপ ঘোষ এবং ডিন অফ সায়েন্স তথা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যলয়ের অস্থায়ী উপাচার্যকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত জানান, বুধবার রাত ১০টা ৫ মিনিটে এক পড়ুয়ার কাছ থেকে ফোনে তিনি শুনেছিলেন যে, এক ছাত্রের ‘পলিটিসাইজ়েশন’ হয়েছে। ‘পলিটিসাইজ়েশন’ শব্দের মর্মার্থ তাঁর কাছে স্পষ্ট হয়নি। তিনি ওই পড়ুয়ার কাছে এই শব্দের ব্যাখ্যা জানতে চাইলে ওই পড়ুয়া নাকি তাঁকে জানান, এক ছাত্রকে ক্যাম্পাসে বলা হয়েছে হস্টেলে না থাকতে। কারণ, সেখান থেকে নাকি দোতলা, তিন তলা থেকে ঝাঁপ দিতে হয়। রজতের সেই কথা প্রকাশ্যে আসার পর স্বপ্নদীপের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা আরও ঘনিয়েছে। রজত জানান, ওই পড়ুয়াকে বিষয়টি হস্টেলের সুপারকে জানাতে বলেন তিনি। কারণ, ক্যাম্পাসে সুপার থাকেন। সেই সময় তিনি নিজে নৈশভোজ সারছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘রাত ১০টা ৮ মিনিটে খেতে খেতেই সুপারকে ফোন করি। যে পড়ুয়া ফোন করেছিল, ফোনের ‘ট্রুকলার’ মারফত তার নাম সুপারকে জানাই। তাকে চেনেন কি না জিজ্ঞাসা করি। উনি চেনেন বলায় ওঁকে বলি একটা সমস্যা হয়েছে এ-২ ব্লকে। আপনি দেখুন। আমায় রিপোর্ট দেবেন।’’ কিন্তু তার পর আর কোনও ফোন পাননি বলে দাবি করেছেন ডিন অফ স্টুডেন্টস। রাত ১২টা নাগাদ সুপারের কাছ থেকে তিনি ফোন পান বলে দাবি করেন। ওই ফোনেই ডিন অফ স্টুডেন্টসকে সুপার জানান, এক পড়ুয়া পড়ে গিয়েছে। ওই ছাত্রকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানোর কথা বলেন ডিন অফ স্টুডেন্টস। তিনি নিজেও রওনা দেন। উপাচার্যের নির্দেশ মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের এ-১, এ-২ ব্লকের হস্টেলে প্রথম বর্ষের যত পড়ুয়া রয়েছেন, তাঁদের নিউ বয়েজ় হস্টেলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে জানান ডিন অফ স্টুডেন্টস। ওই হস্টেলগুলি যে সব ছাত্রের জন্য বরাদ্দ নয়, সে রকম অনেক ‘পাশ আউট’ পড়ুয়াও মেন হস্টেলে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশ করার পরও কী ভাবে হস্টেলে থাকছেন ওই পড়ুয়ারা? এই প্রসঙ্গে ডিন অফ স্টুডেন্টস বলেন, ‘‘এটা উপাচার্যকে জিজ্ঞাসা করবেন। রেজিস্ট্রারকে জিজ্ঞাসা করবেন। প্রাক্তনীদের অবিলম্বে হস্টেল ছাড়তে নোটিস জারি করা হয়েছে।’’

কী বলছেন স্বপ্নদীপের বাবা

স্বপ্নদীপের বাবা আগাগোড়াই খুনের অভিযোগ করছেন। তাঁর দাবি, “ছেলেকে স্রেফ মেরে ফেলা হয়েছে।” কারণ, স্বপ্নদীপ ফোনে জানিয়েছিলেন যে, তিনি ভাল নেই হস্টেলে। সংবাদমাধ্যমকে রমাপ্রসাদ বলেন, ‘‘ঠিক ছিল, শুক্রবার গিয়ে ওকে নিয়ে আসব। তেমনটাই কথা হয়েছিল। ও (স্বপ্নদীপ) বলেছিল, সব কিছু বলা নিষেধ। ‘অ্যাডজাস্ট’ করে থাকতে হচ্ছে। ওই দিন (বুধবার) রাতে বার বার ফোন করে দেখি, ফোন কেটে দিচ্ছে।’’ তাঁর দাবি, ‘র‌্যাগিং চক্রের’ মধ্যে যাঁরা ছিলেন, তাঁরাই ছেলেকে ফোন ধরতে দেননি। এমনকি তাঁরা শিখিয়ে দিতেন ফোনে ঠিক কী বলবেন স্বপ্নদীপ। তিনি আরও বলেন, ‘‘ও মাকে বলছিল, ‘‘আমি ভাল নেই। অনেক কথা আছে। ওর দাদা বার বার জিজ্ঞেস করছিল, ‘‘ভাই ভাল আছিস তো?’’ আসলে বোঝা যাচ্ছিল, ওকে কেউ চেপে ধরে রেখেছে। এই ছেলে বেরিয়ে গেলে ফাঁস হয়ে যাবে— এটা বোধ হয় ওরা বুঝতে পেরেছিল। যার জন্য ওকে শেষ করে দিয়েছে।’’ স্বপ্নদীপের বাবা এ-ও অভিযোগ করেছেন, হস্টেলের দাদাদের চাপে ছোট করে চুল কাটিয়েছিলেন তাঁর ছেলে। আর এই পুরো ঘটনার জন্য তিনি সৌরভ নামে ধৃত প্রাক্তনীকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘সৌরভ সিনিয়র স্টুডেন্ট। ওই মূল পাণ্ডা। ওরাই মেরে ফেলেছে। আমরা যাওয়ার সময় সৌরভ আমাদের বলছে, কাল সকালে আসবেন। স্বপ্নদীপ উপর থেকে পড়ে গিয়েছে।’’

রাজ্যপাল তথা আচার্যের উদ্যোগ

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় র‌্যাগিং বিরোধী কমিটি গঠনে উদ্যোগী হয়েছেন রাজ্যপাল তথা রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য সিভি আনন্দ বোস। শুক্রবার তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক জন অধ্যাপককে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। সেখানে একটি বৈঠকে রাজ্যপাল জানান, শুধু যাদবপুর নয়, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি নিয়ে একটি ‘র‌্যাগিং-বিরোধী কমিটি’ তৈরি করা হবে। ওই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য তথা কর্নাটকের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়। ওই কমিটি সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাগিং সম্পর্কিত অভিযোগ শুনবে। র‌্যাগিং আটকাতে ওই কমিটি নীতি নির্ধারণ করবে। যে হেতু এই মুহূর্তে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নেই, তাই আচার্য হিসাবে রাজ্যপাল নিজে যাদবপুরকাণ্ডে এই পদক্ষেপ করেছেন। বস্তুত, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আবার এই ঘটনার ‘দায়’ আচার্য হিসাবে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের উপর চাপিয়েছেন। শুক্রবার ‘এডুকেশনিস্ট ফোরাম’-এর তরফে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্র। শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র‍্যাগিংয়ের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, যতগুলি আইন ও নিয়ম আছে তা দিয়ে রাজ্য সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করবে। নিয়ম অনুযায়ী একটি কমিটি গঠন করা হবে। সংশ্লিষ্ট কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসি বা এআইসিটিই-র নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ না করলে অভিযোগকারী, অভিযুক্ত বা বহিষ্কৃত ব্যক্তি, শিক্ষার্থী এই কমিটির কাছে আবেদন করতে পারবেন। কমিটি আলোচনা ও পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে এবং তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠানকে জানিয়ে দেবে।

ছাত্রমৃত্যুতে বিক্ষোভ

যাদবপুরের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার প্রভাব পড়েছে বাংলার রাজনীতিতেও। স্বপ্নদীপের মৃত্যুর জন্য সরাসরি রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত টুইটে লিখেছেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার র‌্যাগিংয়ের মতো অপরাধ রুখতে পারেননি। রাজ্য সরকারকে ধিক্কার জানাই।’’ অন্য দিকে, পাল্টা ব্রাত্য একটি টুইটে লেখেন, ‘‘বিজেপির রাজ্য সভাপতি সরকারকে দায়ী করতে গিয়ে ভুলে গিয়েছেন যে, বিশ্ববিদ্যালয় সরাসরি রাজ্যপালের নিয়ন্ত্রণে। ফলে এটা তাঁর ব্যর্থতা।’’ শুক্রবার বিকেল ৪টে নাগাদ যাদবপুর থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন বিজেপির সদস্যেরা। রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতার বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে ওই বিক্ষোভ কুশপুতুল দাহ করা হয়। বিজেপির বিক্ষোভের জেরে বেশ কিছু ক্ষণ যানজট হয় যাদবপুরের রাস্তায়।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy