প্রতীকী ছবি।
সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সাফাইকর্মী হিসেবে নিয়োগ করার নামে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম মহম্মদ সাকির হোসেন। বাড়ি বীরভূমের বোলপুরে।
বুধবার রাতে সাকিরকে বর্ধমানের বুদবুদ থেকে গ্রেফতার করে বৌবাজার থানার পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ২০০ জনেরও বেশি যুবকের থেকে সরকারি হাসপাতালে সাফাইকর্মীর চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে
৩০-৫০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ধৃত ব্যক্তি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একটি যাত্রী-নিবাসের কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করত। গত কয়েক মাস ধরে সে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। বৃহস্পতিবার তাকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে আগামী ১৭ মে পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
পুলিশ জানায়, ঘটনার সূত্রপাত গত মার্চ মাসে। প্রায় ২০০ জন যুবক দাবি করেন, গত জুলাইয়ে তাঁদের সাফাইকর্মী হিসেবে নিয়োগ করেছে সাকির। প্রথম কয়েক মাসে টাকা দিলেও সম্প্রতি তাঁরা বেতন
পাচ্ছেন না। অথচ, চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩০-৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছে অভিযুক্ত। প্রতিদিন বিভিন্ন শিফটে তাঁরা ওই হাসপাতালে সাফাইকর্মী হিসেবে কাজও করেছেন।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কাউকে নিয়োগ করার অনুমতি দেননি। অভিযুক্ত সাকির নিজেকে সরকারি কর্তা এবং ঠিকাদার বলে দাবি করে বেকার যুবকদের সাফাইকর্মী হিসেবে কাজ দেওয়া হবে বলে তাঁদের থেকে টাকা নিয়েছে।
পরে তাঁদের নিয়োগপত্র দিয়ে ওই হাসপাতালেই সাফাইকর্মী হিসেবে কাজে লাগায় সে। এমনকি, কারও যাতে কোনও সন্দেহ না হয়, তার জন্য তাঁদের দিয়ে প্রতিদিন দু’ঘণ্টা করে হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় সাফাইয়ের কাজও করিয়েছে সে। এর বিনিময়ে প্রথম দিকে কয়েক মাসে ওই প্রতারিতদের কয়েক হাজার টাকা করে বেতনও দেওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, গত বছরের শেষ দিক থেকে সাকির তাঁদের বেতন দেওয়া বন্ধ করে দেয়। এর পরেই মার্চ মাসে আন্দোলনে নামেন প্রতারিত যুবকেরা। তখনই জানা যায়, পুরোটাই ভুয়ো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy