Advertisement
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

পিজি-তে সিটি স্ক্যান করানোর নামে টাকা লুট, ধৃত ১

হাসপাতাল সূত্রের খবর, দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে এই চক্রের সক্রিয়তা নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করছিলেন রোগীর পরিজনেরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০১৯ ০০:৩২
Share: Save:

দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হবে না। কড়ি ফেললে সহজেই এমআরআই, সিটি স্ক্যান হয়ে যাবে। এই টোপ দিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে রোগীর পরিজনদের থেকে টাকা হাতিয়ে চম্পট দিত দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার সেই চক্রের এক মহিলা সদস্যকে হাতেনাতে ধরল পুলিশ। ধৃতের নাম ভারতী বাগ।

হাসপাতাল সূত্রের খবর, দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে এই চক্রের সক্রিয়তা নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করছিলেন রোগীর পরিজনেরা। সব পরিষেবা বিনামূল্যে ঘোষণার পরেই সরকারি হাসপাতালে রোগী বহু গুণ বেড়েছে। ওষুধ, এমআরআই, সিটি স্ক্যান, এক্স-রে, রক্ত পরীক্ষার জন্য লম্বা লাইন নিত্যদিনের ছবি। সেখানে দাঁড়িয়ে অধৈর্য হয়ে ওঠা পরিজনদের শিকার হিসেবে বেছে নিত ওই চক্রের লোকজন। হাসপাতাল চত্বরে এমন চক্র যে কাজ করছে, মাস দু’য়েকেরও বেশি সময় ধরে পুলিশে অভিযোগ করছিলেন এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ।

পুলিশ সূত্রের খবর, এ কাজে এক ধরনের জাল আবেদনপত্র তৈরি করে চক্রটি। সেখানে রোগীর নাম, ঠিকানা এবং এমআরআই-সিটি স্ক্যানের ভুয়ো তারিখ লেখা থাকত। চিকিৎসকের জাল সই এবং হাসপাতালের ভুয়ো স্ট্যাম্পও ব্যবহার করা হত। টাকার বিনিময়ে পাওয়া জাল নথি নিয়ে রোগী নির্দিষ্ট দিনে পরীক্ষা করাতে গেলে জানতে পারতেন প্রতারণার কথা। পুলিশ সূত্রের খবর, কোন তারিখে হাসপাতালের কোন চিকিৎসকের ডিউটি রয়েছে সে তথ্য প্রতারকদের নখদর্পণে ছিল। সে জন্যই জাল আবেদনপত্রে ডিউটি অনুযায়ী চিকিৎসকের সই থাকত! তদন্তে নেমে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এক যুবককে সন্দেহ হয় পুলিশের। এ দিন অবশ্য ওই চক্রের যাকে ধরা হয়, সে উলুবেড়িয়ার বাসিন্দা এক জন মহিলা।

পুলিশ সূত্রের খবর, আসল আবেদনপত্রে এসএসকেএম লেখা হরফ ছোট। কিন্তু জাল আবেদনপত্রে হরফ তুলনামূলক ভাবে বড়। এ দিন এমআরআই কাউন্টারে দাঁড়ানো ভারতীর হাতে থাকা কাগজ দেখে সাদা পোশাকের পুলিশের সন্দেহ হয়। এর পরই তাঁকে পাকড়াও করেন কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। পুলিশের অভিযোগ, আরতি প্রামাণিক নামে বছর পঁয়তাল্লিশের এক মহিলার এমআরআই করানোর নাম করে টাকা হাতিয়েছিল সে।

তদন্তকারীদের একাংশ জানান, চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত এবং কী ভাবে এই চক্র কাজ করে, তা-ও দেখা হবে। পাশাপাশি, অন্য সরকারি হাসপাতালেও এমন চক্রের সক্রিয় থাকার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না কলকাতা পুলিশ। এসএসকেএমের সুপার রঘুনাথ মিশ্র তদন্তের স্বার্থে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

অন্য বিষয়গুলি:

SSKM Scam Fraud Police Arrest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy